SSC Recruitment Scam: কোর্টের নির্দেশে স্থগিত কর্মশিক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া, ফের ধাক্কা এসএসসির
Calcutta High Court: এদিন বিচারপতি বসু বলেন, যাঁরা বিশেষ ক্যাটাগরিতে পড়েছেন, তাঁদেরও এই মামলায় যুক্ত হয়ে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।
কলকাতা: আইনি জটিলতায় ফের হোঁচট খেল নিয়োগ প্রক্রিয়া (Recruitment)। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়ে দিল, অতিরিক্ত পদ বা ‘সুপারনিউমেরারি’ পদে কর্মশিক্ষা বিষয়ক নিয়োগ দু’দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। পরবর্তী শুনানিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দেয়।
কর্মশিক্ষায় ‘সুপারনিউমেরারি’ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। প্রকাশিত হয় ওয়েটিং লিস্ট। এরপরই এক চাকরি প্রার্থী মামলা করেন। সোমা রায় নামে ওই মামলাকারী জানান, তিনি পরীক্ষায় ৭২ পেয়েছেন। অথচ তাঁর থেকে যাঁরা পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছেন তাঁদের নাম নিয়োগ তালিকায় রয়েছে, এদিকে নাম নেই তাঁর। এদিন আদালত জানতে চায়, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা কেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বিশেষ ক্যাটাগরিতে পড়ে তা আদালতকে জানাতে হবে।
এদিন বিচারপতি বসু বলেন, যাঁরা বিশেষ ক্যাটাগরিতে পড়েছেন, তাঁদেরও এই মামলায় যুক্ত হয়ে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। বৃহস্পতিবারই তা জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। কর্মশিক্ষা বিষয়ক চাকরি প্রার্থীরাই মামলা করেন। তাঁদের বক্তব্য, এই পদের জন্য ওয়েটিং লিস্টে যাঁরা আছেন, অন্তত ৬০ জন এমন রয়েছেন যাঁদের নম্বর মামলাকারীদের থেকে কম। কেন কম? এসএসসি এদিন আদালতে জানায়, মামলাকারী প্রার্থীর বিএড প্রযোজ্য নয়। তাই পাঁচ নম্বর কেটে নেওয়া হয়েছে। সে কারণে ইন্টারভিউয়ের জন্য তিনি নির্বাচিতও হননি। এরকম অনেকের নামই বাদ গিয়েছে ওয়েটিং লিস্টে। অন্যদিকে নম্বর কম থাকলেও বিশেষ ক্যাটাগরিতে থাকায় সেই তালিকায় নাম উঠেছে অনেকের।
‘সুপারনিউমেরারি’ হিসাবে কর্মশিক্ষার জন্য তৈরি হয় ৭৫০টি পদ, শারীরশিক্ষার শিক্ষার ক্ষেত্রে তা আরও ১০০ বেশি। ৮৫০টি ‘সুপারনিউমেরারি’ পদ শারীরশিক্ষার জন্য। যদিও মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, ‘সুপারনিউমেরারি’ পোস্টের জন্য এসব কিছুই জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, ‘সুপারনিউমেরারি’ পদ যখন তৈরি হয়, এসএসসির বক্তব্য ছিল, এবার নিয়োগ নিয়ে কোনও অভিযোগের সুযোগই থাকবে না।