Millennium Park Kolkata: বন্ধ রেখে সংস্কার হবে মিলেনিয়াম পার্ক, বড়দিন, নিউ ইয়ারেও কি গেটে তালা? কী জানালেন কলকাতার মেয়র

Firhad Hakim: গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ থাকায় গোটা পার্কের অবস্থা তথৈবচ। চলতি মাসগুলিতেও যা অবস্থা তাতে মিলেনিয়াম পার্ক খোলা যে কার্যত অসম্ভব, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম।

Millennium Park Kolkata: বন্ধ রেখে সংস্কার হবে মিলেনিয়াম পার্ক, বড়দিন, নিউ ইয়ারেও কি গেটে তালা? কী জানালেন কলকাতার মেয়র
মিলেনিয়াম পার্ক পরিদর্শনে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 8:27 PM

কলকাতা: গত এপ্রিল মাস থেকে গঙ্গার লাগোয়া মিলেনিয়াম পার্কের (Millenium Park) অন্তর্গত ১, ২ এবং ৩ নম্বর পার্কটি বন্ধ। যে কারণে গোটা উদ্যান আগাছায় ভরে গিয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এসেছে। গঙ্গা লাগোয়া অংশে আগাছা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন তিনি। এ নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেন তিনি। সূত্রের খবর, এবার এই আগাছা সাফাই ও অন্যান্য সংস্কারের কাজে গতি আনতে উদ্যোগী হচ্ছে কলকাতা পুরনিগম। বুধবার সন্ধ্যায় মিলেনিয়াম পার্কের গোটা অংশ পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ থাকায় গোটা পার্কের অবস্থা তথৈবচ। চলতি মাসগুলিতেও যা অবস্থা তাতে মিলেনিয়াম পার্ক খোলা যে কার্যত অসম্ভব, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তবে বড়দিন, বছরের শেষ দিন এবং ইংরাজি বছরের প্রথম দিন যাতে মানুষ এই বিনোদন পার্কে আসতে পারেন এবং মজা করতে পারেন সে কারণে বিশেষ কয়েকটি দিন খুলে রাখা হবে। এরপর আবারও বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সংস্কার করা হবে গোটা পার্কটি।

তবে এদিন পরিদর্শনকালে ফিরহাদ হাকিম কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের উপরে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর নির্দেশ যে সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না, তা তিনি বুঝিয়েও দেন। এমনকী সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের তিরস্কারও করেন। এদিন তাঁর পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং, কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান, রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদ, কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার-সহ কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভার শীর্ষ কর্তারা।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, “তিনটি পার্কের মধ্যে ১ এবং ২ নম্বর পার্কের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। কলকাতা বন্দরের সঙ্গে লিজে যে চুক্তি রয়েছে, তাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সই করেনি। যে কারণে পার্কগুলি আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছি না। আমি আমার দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে নির্দেশ দিয়েছি বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে এই সঙ্কট কাটানোর জন্য।”