Kolkata Medical College Hospital: মেডিক্যালে কার নির্দেশে বন্ধ ছিল সেন্ট্রাল ল্যাব? সাত সদস্যর তদন্ত কমিটি গড়লেন অধ্যক্ষ

Medical College Kolkata: অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, "সাত সদস্যর তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেদিন কার নির্দেশে ল্যাব বন্ধ ছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এর ফল কী হয়েছে তারও জবাব খোঁজা হচ্ছে। সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।"

Kolkata Medical College Hospital: মেডিক্যালে কার নির্দেশে বন্ধ ছিল সেন্ট্রাল ল্যাব? সাত সদস্যর তদন্ত কমিটি গড়লেন অধ্যক্ষ
মেডিক্যালে ছাত্র অনশন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2022 | 5:40 PM

কলকাতা: অনশনের দ্বিতীয় দিনেও অচলাবস্থা অব্যাহত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Medical College Kolkata)। দু’পক্ষের তরফেই বৈঠক-আলোচনা হলেও অধরা সমাধান সূত্র। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়াদের অনশনের দ্বিতীয় দিনেও মিলল না সমাধান সূত্র। সমাধানের খোঁজে শুক্রবার বিকেলে কলেজ কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মঙ্গলবার কেন বন্ধ ছিল সেন্ট্রাল ল্যাব? কার নির্দেশে তা বন্ধ রাখা হল? আন্দোলনের সুযোগে কি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চলছে? ঘেরাও মুক্ত হ‌ওয়ার পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, কোন‌ও রকম নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও কেন ল্যাব বন্ধ ছিল তা নিয়ে তদন্ত হবে। সাত সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন অধ্যক্ষ। ঘেরাও চলাকালীন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনও কোনও সদর্থক উত্তর মেলেনি।

এদিন কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে প্রতিদিনের ঘটনাক্রম স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট আকারে জানানোর পাশাপাশি সিনিয়র চিকিৎসকেরা ছাত্রদের অনশন ভাঙানোর প্রশ্নে সচেষ্ট থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “এতদিন কী হয়েছে কলেজ কাউন্সিলে তা বলা হল। আমরা স্বাস্থ্যভবনকে রোজই জানাচ্ছি। আমাদের সিনিয়র ফ্যাকাল্টি যাঁরা রয়েছেন রোজই ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কোনও সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য এই যোগাযোগ। ছাত্র শিক্ষকের নিয়মিত আলোচনা অনেক সমস্যারই সমাধান করতে পারে।”

এদিকে ঘটনা হল, কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে ছাত্রদের প্রতিনিধি থাকা নিয়ম বলে দাবি অনশনকারী পড়ুয়াদের। এদিন তা না হ‌ওয়ায় কলেজ কাউন্সিল বৈঠককে মান্যতাই দেননি অনশনকরীরা। অনশনকারী অনিকেত করের কথায়, “ওনারা বলছেন কলেজ কাউন্সিলের একটি বৈঠক হয়েছে। সেই কলেজ কাউন্সিল মিটিংয়ে নাকি সকলেই নির্বাচন নিয়ে সহমত। তবে কোনও কারণে নির্বাচন করাতে পারবেন না। আমাদের প্রথম দাবিই হল, প্রিন্সিপাল অফিস থেকে আসা নোটিসে স্পষ্ট বলা আছে কলেজ কাউন্সিলের মিটিংয়ে ছাত্র প্রতিনিধিকে থাকতে হবে। কিন্তু এই বৈঠকে তা ডাকা হয়নি, তাই এই কলেজ কাউন্সিলের কোনও সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। আমরা তো একটা ইউনাইটেড বডি গঠনের জন্য ভোট চাইছি। সেটা তো হওয়া উচিৎ।”