Mamata on Partha: বেহালাতে ‘পার্থদা’র জন্য একটা শব্দও নয়, শুধুই ‘কেষ্ট’কথা মমতার মুখে
Mamata Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর প্রথমবার বেহালায় পা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাড়ায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শুধুই ‘কেষ্ট’ নাম। রবিবার প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বেহালা ম্যান্টনে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে একটিবারের জন্যও নাম করলেন না এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বরং সরব হলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে। প্রশ্ন তুললেন, কেষ্টকে জেলে আটকালে কী হবে? তবে একবারও নাম নিলেন না ‘পার্থদা’র।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর প্রথমবার বেহালায় পা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থর এক সময়ের গড়ে দাঁড়িয়ে এদিন শুধুই কেষ্টর প্রশংসা শোনা গেল তৃণমূলনেত্রীর গলায়। পাশে দাঁড়ালেন, প্রশ্ন তুললেন গ্রেফতারি নিয়ে, দেখালেন সহানুভূতিও। সাফ জানিয়ে দিলেন কেষ্টকে গ্রেফতার করে কি লাভ হবে? তবে যে পার্থের গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে সেই পার্থের জন্য একটা শব্দও খরচ করলেন না তিনি।
শুধু বক্তব্যের একদম শুরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রতি বছর যেহেতু আসি এ বছর যদি না আসি তাহলে আবার ধাইকিরিকিরি করে যারা নেচে বেড়ায়, বলবে ওই তো যেহেতু একজন জেলে আছে তাই ভয়ে গেলেন না। আমি বলি বিচার তো একদিন হবে। কেউ যদি কোনও অন্যায় করে থাকে, বিচার যখন বিচারাধীন থাকে আমি কোনও মন্তব্য করব না। আইন আইনের পথে চলবে।”
অনুব্রতর পাশে দাঁড়ালেও পার্থর পাশে না-দাঁড়ানো নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সবাইয়ের পাশেই তৃণমূল কংগ্রেস আছে। কারও থেকে দূরত্ব বাড়ায়নি। তৃণমূল কংগ্রেস কাকেও ঝেড়ে ফেলেনি। পরিকল্পিতভাবে এই বিতর্ক তৈরি করছে। সমস্তটাই নাটক । তৃণমূল কংগ্রেস ভীত, ভীত সন্ত্রস্ত। তৃণমূল জানে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল যদি কিছু বলেন জল অনেকদূর গড়াবে। তৃণমূল কংগ্রেস ভীত সন্ত্রস্ত। তৃণমূল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে আছে। কেউ দল থেকে বিচ্ছিন্ন নন।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, “পার্থবাবু একটা বিষয়ে অভিযুক্ত। এসএসসি কেলেঙ্কারি। আর কেষ্ট বালি পাচার, গরু পাচার-সহ পাঁচটা বিষয়ে অভিযুক্ত । এরকম গুণধর ভাই কমই আছে। তাই তাঁর জন্য কষ্ট তো স্বাভাবিক। তাছাড়া তিনি ৫০০ কোটি টাকা পার করেছেন। তাই তাঁর কথা তো বলতেই হবে।”
আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল