Partha Chatterjee: পঞ্চায়েতে তৃণমূলই জিতবে, আদালতে ঢোকার আগে বলে গেলেন পার্থ
Partha Chatterjee: গত ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। পরবর্তীকালে সিবিআই তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে।
কলকাতা: এক সময় দলের হেভিওয়েট নেতা থাকলেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইস্তক দল তাঁকে দূরেই সরিয়ে রেখেছে। দলের সমস্ত পদ থেকে আপাতত ‘সাসপেন্ডেড’ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তবে দল তাঁকে দূরে ঠেললেও, তিনি যে এখনও দলের সঙ্গেই, তা বোঝাতে এদিন পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের ভবিষ্যৎবাণী শোনা গেল পার্থর মুখে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, ‘পার্থদা কে জিতবে পঞ্চায়েত ভোটে?’ প্রত্যুত্তরে পার্থ বলেন, “তৃণমূল, তৃণমূল।”
চলতি বছরের ২২ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই তৃণমূল তাঁকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। দলের সমস্ত পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হয় পার্থকে। দল সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, জাগো বাংলার সম্পাদক, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য-সহ সব পদ থেকে অপসারিত করা হয় পার্থকে। তদন্ত চলাকালীন দল তাঁকে সাসপেন্ড ঘোষণা করে। পরবর্তীতে তদন্তের শেষে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে সসম্মানে তৃণমূলে ফেরার রাস্তাও যে খোলা রয়েছে তাও নিশ্চিত করে দল।
জুলাই থেকে নভেম্বর প্রায় পাঁচ মাস পার্থকে বাদ দিয়েই দলের সমস্ত কার্যকলাপ, কর্মসূচি চলছে। তবে পার্থকে দল ছেঁটে ফেললেও তিনি যে দলের থেকে নিজেকে আলাদা করেননি খানিকটা কি এদিন সে কথাই বোঝাতে চাইলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা-শিল্প মন্ত্রী? প্রশ্ন রাজনীতির কারবারিদের। প্রসঙ্গত, ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার আদালতে পেশ করা হয় পার্থকে। এদিন আদালতে পার্থর আইনজীবী সেলিম রহমান তদন্তের গতি নিয়ে কটাক্ষ করেন। এইভাবে তদন্ত হলে কবে মামলা শেষ হবে প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, পার্থর নাম এফআইআরে নেই। কোনওভাবে অভিযুক্তর তালিকাতেও পার্থর নাম নেই। এদিকে ৭৫ দিন হতে চলল পার্থ হেফাজতে। পার্থর আইনজীবী দাবি করেন, পার্থ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।