Mamata Banerjee Security: রীতিমতো ‘রেইকি’ করে কালীঘাটে, হাফিজুল সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে
Mamata Banerjee: হাফিজুলকে গ্রেফতার করার পর প্রথমে তাঁর কাছ থেকে কোনও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি ঠিকই। কিন্তু পরে তাঁকে জেরা করে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে একটি মোবাইল ফোন তাঁর সঙ্গে ছিল।
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে লুকিয়ে থাকা যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার সেই যুবক হাফিজুল মোল্লা সম্পর্কে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে যাওয়ার আগে, বেশ কয়েকবার ‘রেইকি’ করেছিলেন তিনি। এমনকী স্থানীয় বাচ্চাদের তিনি লজেন্স, কোল্ড ড্রিঙ্ক খাইয়ে বন্ধুত্বও করেন বলে সূত্রের দাবি। পুলিশ আগেই জানিয়েছে, কোনও সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যে ওই যুবক কালীঘাটে যাননি, তা স্পষ্ট। এবার পুলিশের কাছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একাধিক সিম পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গত বছর চোরাপথে তিনি বাংলাদেশে গিয়েছিলেন বলেও পুলিশ সূত্রে উঠে এসেছে তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, যেদিন হাফিজুল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে গিয়েছিলেন, তার ১০ দিন আগে কালীঘাটের আশেপাশে রেইকি করেন। হেঁটে অলিগলি ঘুরে বেড়ান। এলাকার বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুত্বও পাতান। কারও হাতে তুলে দেন চকোলেট, কাউকে আবার ঠান্ডা পানীয় খাওয়ান বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। এরপরই এলাকার নানা তথ্য সংগ্রহ করেন হাফিজুল। কী সেই তথ্য? কোথায় কখন পুলিশ থাকে, কোন কোন জায়গায় সবসময় পুলিশের পাহারাদারি চলে, কোন রাস্তায় তুলনামূলক কম নজরদারি কম, সব খবরই নেন তিনি। এমনকী বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকার ছবিও তাঁর মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
হাফিজুলকে গ্রেফতার করার পর প্রথমে তাঁর কাছ থেকে কোনও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি ঠিকই। কিন্তু পরে তাঁকে জেরা করে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে একটি মোবাইল ফোন তাঁর সঙ্গে ছিল। সূত্রের খবর, সিসিটিভিতে দেখা যায়, একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন হাফিজুল। সেই মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাতে বিস্ফোরক সব তথ্য উঠে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ধার হওয়া মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের ছবি এক বা একাধিক নম্বরে পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
সোমবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় হাফিজুল মোল্লাকে। হাফিজুলের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের ১১টি সিম পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের সিমও রয়েছে। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর, পুলিশ এমনও জানতে পেরেছে, গত বছর চোরাপথে তিনি বাংলাদেশে যান। গত বছর দুর্গাপুজোয় যখন ভাসান হয়, ইছামতী পেরিয়ে বাংলাদেশে যান তিনি। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা সিএফএসএলে পাঠানো হচ্ছে। ফোনের সূত্র ধরেই হাফিজুল ও তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইছে পুলিশ। ১৮ জুলাই অবধি পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।