Sishir Adhikari: সাংসদ শিশির অধিকারীকে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির নোটিস
Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
নয়া দিল্লি: শিশির অধিকারীকে নোটিস পাঠাল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। তাঁকে সশরীরে উপস্থিত থেকে মৌখিক বিবৃতি দিতে বলে নোটিস জারি করেছেন প্রিভিলেজ কমিটির সচিব। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, শিশিরবাবুর দলে কোনও উপস্থিতি নেই, দলীয় কার্যকলাপেও কোনও ভূমিকা নেই। তাই বর্ষীয়ান এই নেতার সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানান সুদীপ। একইসঙ্গে সুদীপের বক্তব্য ছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হোক। লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির নোটিস অনুযায়ী ১২ অক্টোবর উপস্থিত থাকতে হবে শিশির অধিকারীকে। বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবি করে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে আবেদন জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলত্যাগ বিরোধী আইনে কাঁথির সাংসদের সাংসদপদ খারিজের আবেদন জানান সুদীপ। সেই সময়ই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, শিশিরবাবু যে তৃণমূলের সঙ্গে নেই তার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর বিভিন্ন সময় শিশির অধিকারীকে রাজ্যের শাসকদলের উল্টো সুরে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তৃণমূলেরই কাঁথির সাংসদের মুখে। যা দিয়ে দলের অন্দরে কম আলোচনা হয়নি। এরইমধ্যে গত বছর মার্চ মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে যখন ভোট প্রচারে আসেন, সে সময় তাঁর মঞ্চে দেখা যায় শিশিরবাবুকে। এরপর বিভিন্ন সময় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, বিজেপির প্রশস্তি শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
চলতি বছরের শুরুতেও শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। প্রিভিলেজ কমিটির নজরে আনার কথা বলা হয় সে সময়। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে কাঁথির সাংসদ হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায় বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ আনেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একাধিকবার লোকসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হন।