Patient falls from Hospital: কার্নিশ অবধি কীভাবে পৌঁছলেন যুবক, টিভিনাইন বাংলার হাতে EXCLUSIVE তথ্য

Patient falls from Hospital: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সাধারণ ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছিল ওই যুবককে। শনিবার সকালে ওই যুবক জানলা থেকে বেরিয়ে কার্নিশে গিয়ে বসেন।

Patient falls from Hospital: কার্নিশ অবধি কীভাবে পৌঁছলেন যুবক, টিভিনাইন বাংলার হাতে EXCLUSIVE তথ্য
(বাঁদিকে) কার্নিশের কাছে পড়ে রয়েছে বেড কি। (ডানদিকে) জানলার স্ক্রু খোলা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 9:31 PM

সৌরভ দত্ত: আটতলার কার্নিশে দাঁড়িয়েছিলেন লিকলিকে চেহারা তিরিশের কোঠার এক যুবক। হঠাৎ কার্নিশ থেকে ঝুলতে থাকেন, এরপরই ঘুরতে ঘুরতে সোজা নীচে। দুপুর থেকে যমে মানুষে টানাটানি। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫-এ মারা যান তিনি। কলকাতার মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালের এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। এরইমধ্যে টিভিনাইন বাংলার হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য। ওই বেসরকারি হাসপাতালের এমএসভিপি মহুয়া গোলদার জানান, স্নায়ুর সমস্যা নিয়ে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তাঁর ‘পাস্ট রেকর্ড’ বলছে তিনি মনরোগেরও শিকার ছিলেন।

এমএসভিপি মহুয়া গোলদার বলেন, “অনেকে থাকেন যাঁরা পুরোপুরি অ্যালকোহল নির্ভর হন। তাঁদের অ্যালকোহল থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে, তার একটা উইথড্রল কাজ করে। এইটুকু তথ্য আমি জানতে পেরেছি। আমরা তো তদন্ত করবই। রোগী সাধারণ ওয়ার্ডেই ছিলেন। নিউরোর সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। পরে তাঁর মনোরোগের পাস্ট রেকর্ডও আমরা জানতে পারি।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সাধারণ ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছিল ওই যুবককে। শনিবার সকালে ওই যুবক জানলা থেকে বেরিয়ে কার্নিশে গিয়ে বসেন। কী করে জানলা থেকে বেরোলেন তিনি? ওই জানলার পাশে একটি ‘উইনডো ল্যাচ’ পাওয়া গিয়েছে। মেঝের পাশে পড়ে ছিল স্ক্রু। উইনডো কিও ছিল জানলার ধারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবক নিজেকে মেকানিক হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। বেডের হ্যান্ডেলকে কাজে লাগিয়ে জানলার স্ক্রু খোলেন। এরপরই জানলা দিয়ে নামতে যান। এক নার্স তাঁকে ধরতে গেলে কামড়ে দেন তিনি। এরপরই নার্স ছিটকে যেতেই নেমে পড়েন কার্নিশে।

এই ঘটনা ঘিরে সোমবার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। স্বাস্থ্য ভবনের একটি কমিটিকে ঠিক কী ঘটেছে তা‌‌ খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ওই বেসরকারি হাসপাতালের কাছেও ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে স্বাস্থ্য ভবন। অন্যদিকে এদিন হুগলির এক কর্মসূচিতে গিয়ে পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা একটা দুর্ঘটনা। এরসঙ্গে নিরাপত্তার কোনও বিষয় নেই। যেটা হয়েছে সেটা বেসরকারি হাসপাতালে, কোনও সরকারি হাসপাতালে নয়।”