Primary Teacher Recruitment: প্রাথমিকের অফিসের ভিতরে সিবিআই, হঠাৎই ভিতরে ঢুকলেন এক চাবিওয়ালা… এবার কি হাতে এল চাঞ্চল্যকর নথি?
P}rimary Recruitment: পর্ষদে গিয়ে বেশ কিছু আলমারির চাবি না থাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। তিনি চাবি তৈরি করেন।
কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Primay Teacher Recruitment) একেবারে শিকড়ে পৌঁছতে চাইছে সিবিআই। পর্যাপ্ত নথি, তথ্য নাগালে পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ফের বৃহস্পতিবার হাজির হন সল্টলেক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে। সংশ্লিষ্ট দফতরের পাশাপাশি-ছ’ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এদিন পর্ষদের দফতরে গিয়ে একাধিক আলমারির চাবি পাননি তদন্তকারী। এরপরই স্থানীয় এক চাবিওয়ালাকে ডেকে আনা হয়। তিনি আলমারির নকল চাবি বানিয়ে দেন। সূত্রের খবর, সেই চাবি দিয়ে আলমারি খুলে চলে তল্লাশি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সল্টলেক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ-সহ ছ’ জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রাথমিক টেট দুর্নীতির তদন্তের জন্য সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দফতরে যায় এদিন। পাঁচজনের প্রতিনিধিদল যায় সেখানে। সকাল এগারোটা নাগাদ সেখানে যায়। এদিনই পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালায়। এদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি চালায় তারা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথিও পান এদিন।
পর্ষদে গিয়ে বেশ কিছু আলমারির চাবি না থাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। তিনি চাবি তৈরি করেন। ওই ব্যক্তিই ডুপ্লিকেট চাবি বানিয়ে দেন। এরপর আলমারি খুলে নথি সংগ্রহ করা হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া সমস্ত নথি নিজাম প্যালেস নিয়ে যাওয়া হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে গোটা তল্লাশি অভিযান ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
ওই চাবিওয়ালা পর্ষদের ভিতরে ঢোকার সময় বলেন, “আমি কিছুই জানি না। আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে চাবি বানানোর জন্য। ভিতরে গেলে বুঝতে পারব।” একইসঙ্গে জানান, এর আগে এখানে তাঁকে কখনও ডাকা হয়নি। এদিকে পর্ষদের দফতর থেকে বেরোনোর সময় ওই ব্যক্তি বলেন, “স্টিলের আলমারির একটা চাবি বানিয়েছি। আলমারির ভিতরে কাগজপত্র, ফাইল ছিল। সেগুলো বের করছিল।”