KMC: পুজোয় বৃষ্টি হলে কীভাবে মোকাবিলা পুরনিগমের? স্পষ্ট করলেন মেয়র পারিষদ তারক সিং

KMC: তারক সিং জানান, ১৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে এক ঘণ্টা জল জমবে। যদি লকগেট বন্ধ থাকে তাহলেও খুব বেশি হলে চার ঘণ্টা জল জমে থাকবে।

KMC: পুজোয় বৃষ্টি হলে কীভাবে মোকাবিলা পুরনিগমের? স্পষ্ট করলেন মেয়র পারিষদ তারক সিং
পুজোয় বৃষ্টি হলে কতটা তৈরি পুরনিগম, উঠছে প্রশ্ন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2022 | 7:36 AM

কলকাতা: ইতিমধ্যেই আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে পুজোয় বৃষ্টি হবে। সত্যি যদি তেমনটা হয়, তা হলে কি ফের জল থইথই তিলোত্তমা? চরমে বিপাকে পড়তে হবে পুজো উদ্যোক্তাদের? সোমবার বেহালা ইয়ং মেনস অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে এ নিয়ে আশ্বাসের কথা শোনা গেল কলকাতা পুরনিগমের নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের গলায়। জানালেন, বৃষ্টি হলে কলকাতা পুরোপুরি তৈরি সোমবার পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে তারক সিং বলেন, যদি পুজোয় বৃষ্টি হয়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কলকাতা পুরনিগম সম্পূর্ণভাবে তৈরি। আগে যা নিকাশি ব্যবস্থা ছিল তাতে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে জল নামানো যেত। এখন সেই ক্ষমতা আরও অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ ১৫ মিলিমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে।

তারক সিং জানান, ১৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে এক ঘণ্টা জল জমবে। যদি লকগেট বন্ধ থাকে তাহলেও খুব বেশি হলে চার ঘণ্টা জল জমে থাকবে। গত বছর যাদবপুরে আট দিন এবং বেহালায় ছ’দিন জল জমেছিল। তারক সিংয়ের কথায়, “এবার পুজোর আগে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি এবং আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি যদি গতবারের মত জল জমে থাকে তাহলে আমি আমার পদ থেকে ইস্তফা দেব। আমি মানুষকে আশ্বস্ত করছি গতবারের মত জল বেহালা এবং যাদবপুরে জমে থাকবে না।”

বর্ষার শুরুতে বৃষ্টির দেখা মেলেনি দক্ষিণবঙ্গে। অথচ বর্ষা পেরিয়ে শরতের আকাশে কালো মেঘের উঁকিঝুঁকি। পুজোতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ২৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার থেকেই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যদিও ১ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ মহাষষ্ঠী অবধি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে এরপরই মন খারাপের শুরু হতে পারে।

২ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমী থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। বিশেষ করে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে উপকূলের জেলাতে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে ৩ অক্টোবর অবধি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে ৪ অক্টোবর ও ৫ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। হাওয়া অফিস বলছে, পূর্ব মধ্য ও উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সে কারণেই ২ অক্টোবর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।