TET CBI: এবার প্রাথমিকে চাকরি গেল ২৬৯ জন শিক্ষকের, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সোমবার আদালত যে নির্দেশ দিল, এর ফলে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে।
কলকাতা: টেট পাশ না করেও চাকরি পেয়েছেন ২৬৯ জন। নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ, ২০১৬ সালে প্যানেল প্রকাশ হয়েছিল। তারপর ২০১৭ সালে আরও একটি প্যানেল প্রকাশ হয়। সুপ্রিয় সরকার-সহ ২৬৮ জনের নাম প্যানেলে আসে। সোমবার আদালত যে নির্দেশ দিল, এর ফলে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে হাজিরা দিতে হবে তাঁদের। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। ফের অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এবার প্রাথমিকের নিয়োগেও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য। প্রাইমারি টেটেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২৬৯ জনের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যেন স্কুলে না ঢোকেন, সে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট চাকরি থেকে তাঁদের বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। কেন তাঁদের যেতে বলা হয়েছে? যে দুর্নীতি হয়েছে তার শিকড়ে পৌঁছতে এই দু’জনের বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে আদালত। ২০১৬ সালে যে টেট হয়েছিল, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিলেন সেখানে।
এই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৭ সালে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, এই প্যানেলের এক বছর পর আবারও প্যানেল প্রকাশিত হয়। এই প্যানেল নিয়ে প্রাইমারি বোর্ডের যুক্তি ছিল, ১ নম্বর বাড়ানো হয়েছে উত্তরপত্রে। কারণ, হিসাবে দেখানো হয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন ভুল ছিল। অভিযোগ, এই ১ নম্বর পেয়েছেন ২৬৯ জন। আদালত জানতে চায়, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে কেন এই নম্বর দেওয়া হল? দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশের কারণ কী ছিল? নম্বর বাড়ানো, নতুন প্যানেল ঘোষণার বিষয়ে কেন কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল না?