Anubrata Mondal: অনুব্রতর পর বীরভূমের জেলা সভাপতির পদে কে? উঠে আসছে একাধিক নাম
Anubrata Mondal: বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট। তারমধ্য়েই এবার অনুব্রতর গ্রেফতারিতে স্বভাবতই অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের।
কলকাতা: বর্তমানে সিবিআই (CBI) হেফাজতে দিন কাটছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এদিকে তৃণমূলের (Trinamool) তো কত জেলা সভাপতি রয়েছেন। কিন্তু অনুব্রতর মতো এক ডাকে সাধারণ মানুষ চেনেন আর কতজনকে! কখনও, মন্ত্রী, বিধায়ক কিছুই হননি অনুব্রত। কিন্তু, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মতে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রতই ছিলেন কিং মেকার। কিন্তু, অনুব্রতর পর বীরভূমের জেলা সভাপতির আসনে কে? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
জল্পনার মধ্যেই কেউ কেউ বলছেন সাংসদ শতাব্দী রায় হতে পারেন বীরভূমের পরবর্তী জেলা সভাপতি। কিন্তু, সাংসদের তাতে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। শোনা যায় কেষ্টর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিশেষ ভাল ছিল না। কেষ্টর বীরভূম মডেলে দল চালানোও তাঁর পক্ষে অসম্ভব বলেও মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। এমতাবস্থায় উঠে আসছে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তিন নেতার নাম। তালিকায় প্রথমে রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে এসেই কেষ্টর প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠা অভিজিৎ সিংহ ওরফে রানা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সিউরির বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। এদের মধ্যেই কী কেউ কেষ্টর চেয়ারে বসবেন? দৌড়ে এগিয়ে কে?
এই প্রেক্ষাপটে সবথেকে বেশি শোনা যাচ্ছে রানার নাম। সূত্রের খবর, পুরো জেলায় কেষ্টর নেটওয়ার্ক সবথেকে ভাল জানেন রানাই। তবে জেলা সভাপতি হলে যেই হন না কেন তাঁকে লড়তে হবে অনুব্রতর ইমেজের সঙ্গে, একথা বলাই বাহুল্য। অনুব্রতই তৃণমূলের একমাত্র জেলা সভাপতি যাঁকে নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন খোদ কবি শঙ্খ ঘোষও। এদিকে গতবার অনুব্রতর ক্যারিশমাতেই বেশিরভাগ পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছিল তৃণমূল। এদিকে বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট। তারমধ্য়েই এবার অনুব্রতর গ্রেফতারিতে স্বভাবতই অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের। এমতাবস্থায় এবার কে বীরভূমের জেলা সভাপতির দায়িত্ব কার কাঁধে যায় সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল