Death in Jadavpur: জানালা উঁকি মারতেই ‘থ’ বাড়ির মালিক, ঝুলছে মহিলার দেহ, পুলিশের হাতে আটক সঙ্গী
Kolkata: বস্তুত, রবিবার দুপুরে ছিট কালিকাপুর এলাকায় একটি টিনের বাড়ির ভিতর থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়।
পূর্ব যাদবপুর: ভাড়া বাড়িতে পুরুষসঙ্গীকে নিয়ে থাকতেন। বিগত তিনমাস একসঙ্গেই ছিলেন ওঁরা। এরপর রবিবার এল মর্মান্তিক ঘটনার খবর। পূর্ব যাদবপুরের ছিট কালিকাপুরে উদ্ধার হয় মহিলার নিথর দেহ। গোটা ঘটনায় আটক সঙ্গী।
পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ আটক করেন মহিলার সঙ্গীকে। জানা গিয়েছে, গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। মৃতার সঙ্গী পুলিশকে জানান, গত পরশু দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপরেই তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পরে ফিরে এসে মৃত অবস্থায় দেখতে পান সঙ্গিনীকে। যদিও, ওই ব্যক্তির বক্তব্যে সত্যতা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এ দিকে, বাড়ির মালিক পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা স্বামীর পরিচয় দিয়েই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। তাই সেই পরিচয়ও কতটা যথাযত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে আসল ঘটনার কথা।
বস্তুত, রবিবার দুপুরে ছিট কালিকাপুর এলাকায় একটি টিনের বাড়ির ভিতর থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এই বাড়িতে যে মহিলা থাকতেন, বাড়িওয়ালার কাছে তাঁর পরিচয় দেওয়া হয়েছিল অপর্ণা। তাঁর সঙ্গে যে পুরুষসঙ্গী থাকতেন, তিনি ওই মহিলার স্বামী পরিচয় দিয়ে থাকতেন সেখানে। জানা গিয়েছে, গত তিন মাস ধরে তাঁরা সেখানে ছিলেন। কিন্তু রবিবার সকালে বাড়ির বন্ধ দেখা যায়। কোনও টু শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর বাড়ির মালিক বাইরে থেকে উঁকি মেরে দেখতে পান, ভিতরে মেঝেতে পড়ে রয়েছে মহিলার নিথর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃতার গলায় একটি কালসিঁটে দাগ ছিল। সেই দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। এদিকে রহস্যজনকভাবে ঘটনার পর থেকে মৃতার স্বামী নিখোঁজ। পাশাপাশি ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকতেন ওই মহিলার দিদি এবং জামাইবাবু। ঘটনার পর থেকে তাঁরাও নিখোঁজ। ইতিমধ্যেই পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ এবং লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দার ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন এবং নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে।