Mysterious Death: নীচের তলায় পড়ে থেকে পচে গেল বোনের মৃতদেহ, একই বাড়িতে থেকে টেরই পেলেন না দুই দিদি!
Mysterious Death: স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে থাকতেন তিন বোন। নীচের তলায় থাকতেন টুলটুল গুহ নামে ওই মহিলা।
কলকাতা : একই বাড়ির নীচের তলায় থাকতেন বোন আর ওপরে দুই দিদি। গত কয়েকদিন ধরে দুর্গন্ধে টিকতে পারছেন না পাড়া প্রতিবেশীরাও। অথচ দুই দিদি জানতেই পারলেন না তাঁদের বোনের দেহই পচছিল নীচের ঘরে। অবশেষে প্রতিবেশীদের উদ্যোগেই উদ্ধার হল বছর ৪৫-এর এক মহিলার মৃতদেহ। বাগুইআটির জ্যাংড়ার ঘটনা। রবিবার রাতে টুলটুল গুহ নামে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মৃতের দিদির দাবি, খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন বোন টুলটুল। তবে মৃত্যু হয়েছে, এটা তাঁরা বুঝতেও পারেননি। বাগুইআটির জ্যাংড়ার একটি দোতলা বাড়ির নীচের ঘর থেকে টুলটুল গুহের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘরের মধ্যেই কয়েক দিন ধরে পড়ে রইল মহিলার মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, রবিবার তীব্র দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। রবিবার বিকেলে কোথা থেকে গন্ধ আসছে, প্রতিবেশীরা তার খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর খবর যায় স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে। পুরনিগমের কর্মীরা এসে ঘরের ভিতরে ঢুকলে তীব্র দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। টর্চ লাইট জ্বালিয়ে তাঁরা দেখতে পান আলমারির পাশে পড়ে রয়েছে পচা গলা দেহ। এরপর থানায় খবর দেওয়া হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগুইআটি থানার পুলিশ। পুলিশ এসে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যায় দেহ।
এক প্রতিবেশী জানান, ওই বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত বাগানে আবর্জনা ফেলতেন পাড়ার লোকজন। তাই গন্ধ পেয়ে তাঁরা ভেবেছিলেন, ওই বাগানে কোনও ইঁদুর বা আন্য কোনও প্রাণীর দেহ মরে পচে গিয়েছে। কিন্তু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এমনটা ভাবেননি তাঁরা। তিনি আরও জানান, তিন বোনের মধ্যে একজনই মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজারে যেতেন। বাকিদের খুব একটা দেখা যেত না।
মৃতার দিদিরা জানিয়েছেন, টুলটুল গুহ তাঁর ঘরে পরিবারের কেউ গেলে চীৎকার-চেঁচামেচি করতেন। সাত দিন আগে শেষ বার খাবার দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বড় দিদি। তারপর পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া দিতেন না। দিদি জানান, বোন এমনিতেই বিছানায় শুয়ে কাটাতেন বেশিরভাগ সময়। তেমনভাবেই শুয়েছিলেন গত কয়েকদিন। তাঁরা নাকি টেরও পাননি যে বোন আর বেঁচে নেই। অনেক দিন ধরেই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি ওই মহিলার।
বেশ কয়েকদিন ধরে সাড়া না পেলেও পরিবারের লোকজন কেন ওই মহিলার খোঁজ নিলেন না? সেই প্রশ্ন সামনে আসছে। মানসিক অবসাদে ওই মহিলা ভুগতেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশ মনে করছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।