স্কুল শিক্ষকদের ‘ব্যক্তিগত কোচিংয়ে’ নাম লেখালেই সিবিএসই-র মার্কশিট ভরছে নম্বরে!
CBSE: দশম ও একাদশের ৩০ শতাংশ প্রতি ধরে মোট ৬০ শতাংশ ও বাকি ৪০ শতাংশ দ্বাদশে প্রদত্ত আভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও প্রকল্পের মাধ্য়মে প্রাপ্ত নম্বর ধরে মূল্যায়ন হবে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বোর্ডের এই নির্দেশ পালন করা হয়নি।
উত্তর ২৪ পরগনা: সিবিএসইর (CBSE) দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়ায় বিক্ষোভ ব্যারাকপুরের সেন্ট্রাল মডেল স্কুলে। অভিযোগ, বোর্ডের নিয়ম মেনে মূল্যায়ন হয়নি। ফলে, প্রাপ্ত নম্বর কমে গিয়েছে। অভিযোগ, কম নম্বরের জেরে কলেজে ভর্তি হতেও সমস্যা হচ্ছে পড়ুয়াদের।
করোনা আবহে পরীক্ষা হয়নি। ফলে, সিবিএসই বোর্ডের (CBSE) ক্ষেত্রে দশম, একাদশ ও দ্বাদশে প্রাপ্ত নম্বরের গড়েই মূল্যায়ন নির্ধারিত হয়। দশম ও একাদশের ৩০ শতাংশ প্রতি ধরে মোট ৬০ শতাংশ ও বাকি ৪০ শতাংশ দ্বাদশে প্রদত্ত আভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও প্রকল্পের মাধ্য়মে প্রাপ্ত নম্বর ধরে মূল্যায়ন হবে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বোর্ডের এই নির্দেশ পালন করা হয়নি। কয়েকজন পড়ুয়া অনেক নম্বর পেলেও ৬০০ জনের মধ্যে বেশিরভাগ পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশের কম বলেই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, একাদশের মার্কশিট চাইতে গেলেও তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। কিছু পড়ুয়া অভিযোগ করেছেন, স্কুলের শিক্ষকদের কাছে ব্যক্তিগত ভাবে টিউশন না নিলেই নম্বর কম দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েই পথে নেমেছেন তাঁরা।
এক পড়ুয়ার কথায়, “আমাদের ক্লাস ইলেভেনের মার্কশিট পাইনি। স্কুল থেকে বলা হচ্ছে ক্লাস ইলেভেনের মার্কশিট তৈরি হয়নি। এদিকে আমাদের ক্লাস টুয়েলভের রেজাল্ট বেরিয়ে গেল! তাহলে মূল্যায়ন কীভাবে হল? ব্যক্তিগত ভাবে যারা টিউশন নেয় তারাই অনেক অনেক নম্বর পাচ্ছে। আর সেই সংখ্য়াটা হাতে গোনা দশ-বারো জন। বাকিরা কী দোষ করল?”
পাল্টা, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক পড়ুয়ার মূল্যায়ন সঠিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মতো আশানুরূপ ফল না হলে আবার পরীক্ষাও দিতে পারেন পড়ুয়ারা। মিথ্যে রটনা ও উত্তেজনা তৈরি করতে এই বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা। আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: টিকা চাইলেন প্রাপকরা, জুটল পুলিশের লাঠি!