Suvendu Adhikari: নবান্নের বৈঠকে শুভেন্দুকে ‘আমন্ত্রণ’, যোগ দিতে ‘জোড়া শর্ত’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার

Suvendu Adhikari: কয়েক মাস আগেই মানবাধিকার কমিশনার, তথ্য কমিশনার ও লোকায়ুক্ত কমিশনার নিয়োগের জন্য এর আগে বৈঠক হয় বিধানসভায়। সেখানেও গড়হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Suvendu Adhikari: নবান্নের বৈঠকে শুভেন্দুকে ‘আমন্ত্রণ’, যোগ দিতে ‘জোড়া শর্ত’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার
ছবি- বৈঠকে যোগ দিতে একাধিক শর্ত শুভেন্দুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 8:37 PM

কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Corruption Case) রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই চাপ বেড়েছে রাজ্য সরকারের উপর। যা নিয়ে নিয়ে লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে চলেছেন বিজেপি নেতারা (BJP Leaders)। তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা(State Opposition Leader) শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। এবার সেই শুভেন্দুকেই  নবান্নে ‘আমন্ত্রণ’ জানালো রাজ্য সরকার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ফের শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। তবে ঠিক কী কারণে ডেকে পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুকে? 

সূত্রের খবর, প্রশাসনিক নিয়ম মেনেই লোকায়ুক্ত সহ তিন নিয়োগ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে বিরোধী দলনেতা হিসাবে ডাকা হয়েছে শুভেন্দুকে। এই ধরনের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার উপস্থিতিই সরকারি নিয়ম। তবে যে চিঠি রাজ্যের তরফে শুভেন্দু কাছে এসে পৌঁছেছে তাতে আপত্তি তুলেছেন খোদ শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি যেখানে সরকারি নিয়ম বলেই এই প্রক্রিয়ায় তাঁর উপস্থিত থাকার কথা, সেখানে চিঠিতে লেখা হয়েছে রাজ্যপালের সুপারিশে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই ভুল না শোধরালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বেঁধে দিয়েছেন সময়সীমাও। বৃহস্পতিবার বিকালের সংশোধিত চিঠি পাঠাতে হবে রাজ্যকে। এমনটাই দাবি শুভেন্দুর। 

এদিকে কয়েক মাস আগেই মানবাধিকার কমিশনার, তথ্য কমিশনার ও লোকায়ুক্ত কমিশনার নিয়োগের জন্য এর আগে বৈঠক হয় বিধানসভায়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু। বৈঠকে যে প্রস্তাব উঠেছিল তাতে সবুজ সংকেত দেননি রাজ্যপাল। তারফলে শেষ হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া। এমতাবস্থায়, অসম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতেই নতুন করে তোড়জোড় করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণেই আগামী ২৩ তারিখ পুনরায় নবান্নে বসতে চলেছে বৈঠক। যদিও এখানেও নতুন দাবি করেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, যতক্ষণ না আগের বৈঠকটি অবৈধ বলে ঘোষণা করা হচ্ছে ততক্ষণ নতুন বৈঠকের কোনও বৈধতা নেই। যদি আগের বৈঠক ‘অবৈধ’ হিসাবে ঘোষণা করা হয় তবেই তিনি যোগ দেবেন নতুন বৈঠকে। এদিকে তিন পদে নিয়োগের জন্য আগের বৈঠকে বেশ কিছু নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। এমতাবস্থায়, শুভেন্দু জোড়া দাবি নিয়ে রাজ্য সরকার কী অবস্থান নেয় এখন সেটাই দেখার।