Hooghly TMC: তৃণমূল কর্মীর মুণ্ড কাটা দেহ উদ্ধার, প্রেম নাকি রাজনৈতিক হিংসা?
Hooghly TMC: বুধবার সকালে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ দেখতে পান এলাকার মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুধু ধরটিই পড়ে ছিল রাস্তার ধারে।
হুগলি: তৃণমূল কর্মীর মুণ্ড কাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। পুরশুড়ার তোকিপুর এলাকায় ঘটনা। ধর থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত এই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ রফিক(৩০)। তাঁর বাড়ি পুরশুড়ার সোদপুরের রাউতারা গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ও তিন বছরের একটি শিশু রয়েছে। এই নৃশংস খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের তির বিজেপির দিকে। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার রাতে রফিক তোকিপুর এলাকায় প্রতিদিনের মত যান। স্থানীয় একটি ক্লাবে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। পরিবারের সদস্যদের কাছে সে খবরও ছিল। তারপর থেকে আর তার দেখা মেলেনি। বুধবার সকালে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ দেখতে পান এলাকার মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুধু ধরটিই পড়ে ছিল রাস্তার ধারে। পরে দেখা যায় দেহ থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে তার ক্ষত বিক্ষত মুণ্ড পড়ে আছে একটি ঝোপের পাশে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের তরফে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান জয়দেব জানা বলেন, “এটা নিতান্তই রাজনৈতিক হিংসা। এর পিছনে বিজেপিরই হাত রয়েছে। উস্কানিমূলক রাজনীতি চলছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য,এই ঘটনার সঙ্গে ঘটনার বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়। প্রকৃত দোষী কে, তা তদন্ত করে পুলিশকে দেখতে হবে। যারা দোষী তাদের খুঁজে বের করবে পুলিশ।
তবে পরিবারের সদস্যদের কথায় উঠে আসে অন্য তত্ত্ব। প্রেমঘটিত একটি বিষয়ও জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের সঙ্গে এলাকারই এক মহিলার প্রেম ছিল। সেই কারণেই খুন হয়ে থাকতে পারেন তিনি। এক আত্মীয় বলেন, “ওই মেয়ে দাদা বলে ডাকত। কিন্তু খুব ফোন করত। ওর সঙ্গে কিছু ছিল। কিন্তু আমরা এখন এসব বলতে পারব না।” আরেক আত্মীয়র বক্তব্য, “ওই মেয়েটাই মেরেছে। লোক দিয়ে মেরেছে।” পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।