Cyclone Gulab: ধেয়ে আসছে ‘সাইক্লোন’ গুলাব, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অতি সতর্ক পুরসভা

Cyclone Gulab: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে শিক্ষা নিয়ে শহর কলকাতা মানুষকে যাতে সমস্ত রকম পরিষেবা দেওয়া যায়, তার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল কলকাতা পুরসভার

Cyclone Gulab: ধেয়ে আসছে 'সাইক্লোন' গুলাব, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অতি সতর্ক পুরসভা
আগামিকালই এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ও অন্ধ্রের উপকূলে আছড়ে পড়বে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 10:41 PM

কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ (Cyclone Gulab) আছড়ে পড়তে চলেছে ওড়িশা ও অন্ধ্রের উপকূলে। ফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলির পাশাপাশি শহর কলকাতার বুকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে। এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে শিক্ষা নিয়ে শহর কলকাতা মানুষকে যাতে সমস্ত রকম পরিষেবা দেওয়া যায়, তার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) অন্দরে।

পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার স্পেশাল কমিশনার তাপস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিপর্যয় মোকাবিলার রূপরেখা ঠিক করা হয়। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঝড় হলে যদি প্রচুর গাছ ভেঙে বা উপড়ে পড়ে যায়, তাহলে দ্রুত তা সরিয়ে ফেলার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রতিটি বরোতে তৈরি রাখা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যদি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়, সে ক্ষেত্রে জলমগ্ন অবস্থা থেকে শহরবাসীকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে শহর কলকাতার ৭৬ টি পাম্পিং স্টেশনকে আগাম সতর্ক করে রাখা হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার মেডিকেল টিমকেও বিভিন্ন বরোতে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে যে কোনও ধরনের বিপর্যয়ের সময় চিকিৎসা পরিষেবার দেওয়ার লক্ষ্যে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় রেখে যে কোনও ধরনের দুর্যোগের মোকাবিলায় যৌথভাবে অপারেশন করা যায়। সিইএসসি-র কর্মকর্তাদেরও বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনে যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেলে তা দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হয়। এমনকি, দুর্যোগের সময় যাতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কারোর কোনও ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি নজর রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এককথায়, গুলাবের মতো ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। প্রয়োজনে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম-সহ সমস্ত সদস্য দুর্যোগের দিন নিজ নিজ এলাকায় এবং কলকাতা পুরসভার সদর দফতর থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার কর্তারা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভার কর্মীদের। তাতে বলা হয়েছে, সবকটি পাম্পিং স্টেশনে সঠিক নজরদারিতে রাখতে হবে। পাম্প মেশিনগুলো যাতে সঠিকভাবে এবং মসৃণভাবে চলে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যেখানে থেকে জল নিষ্কাশিত হয় সেই নিকাশি নালা, গালিপিটগুলি পরিষ্কার রাখতে হবে। জল নিষ্কাশনের জন্য জোয়ারের সময় ছাড়া যাতে গঙ্গার লকগেটগুলি যাতে খোলা থাকে তার জন্য নিকাশি বিভাগের কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: Narendra Modi at UN: ‘কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে যেন আফগানিস্তানের সুযোগ না নেয়’, নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা নমোর

নিকাশি বিভাগের সাবেক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সর্বদা মনিটরিং রাখতে হবে লকগেটগুলিতে। বরো অফিসগুলিতে পোর্টেবল পাম্পের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেখানে যেখানে পাম্পের মাধ্যমে জল তোলা যাবে না সেখানে এই পোর্টেবল পাম্প ব্যবহার করে দ্রুত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে নিকাশি বিভাগের কর্মীদের। বিপজ্জনক এবং অতি বিপজ্জনক নির্মাণগুলি থেকে মানুষদের সরিয়ে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য কমিউনিটি হল, স্কুল এবং অন্যান্য জায়গার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার সচিবালয় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং জলের বোতল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। এছাড়াও নানাবিধ ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার থেকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে এই দিনের বৈঠকে।

আরও পড়ুন: Narendra Modi at UN: চিনের সম্প্রসারণ নীতিকে সজোরে খোঁচা, রাষ্ট্রপুঞ্জে সংস্কারের দাবি মোদীর মুখে