সেভিংস অ্যাকাউন্টকে জন ধন অ্যাকাউন্ট করলে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে

ব্যাঙ্কে গিয়ে গ্রাহকেরা নিজেদের সেভিংস অ্যাকাউন্টকে (savings account) জন ধন অ্যাকাউন্টে পাল্টাতে পারেন। এর জন্য আবেদন করতে হয়। ফর্ম জমা দেওয়ার পরে ডেবিট কার্ড জারি হলে সেভিংস অ্যাকাউন্টটি আলাদা ভাবে জন ধন অ্যাকাউন্টে (Jan Dhan account) পাল্টে যায়।

সেভিংস অ্যাকাউন্টকে জন ধন অ্যাকাউন্ট করলে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে
জন ধন অ্যাকাউন্ট
Follow Us:
| Updated on: May 05, 2021 | 5:14 PM

নয়া দিল্লি: ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতা আসার পর প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (Jan Dhan account) শুরু হয়েছিল। যে কোনও দেশবাসী এই প্রকল্পের সুবিধে পেতে পারেন। জিরো ব্যালেন্সেও এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অনেকে ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন। কারণ গত বছর এই সব অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর। এবং অনেকে মনে করছেন এবারও সেরকম সম্ভাবনা রয়েছে।

সেভিংস অ্যাকাউন্টকে (savings account) জন ধন অ্যাকাউন্টে পরিবর্তনের ওপায় খুবই সহজ। এর জন্য আপনাকে অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে। ১০ বছরের ওপরের যে কেউ এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

সেভিংস অ্যাকাউন্টকে থেকে জন ধন অ্যাকাউন্ট

ব্যাঙ্কে গিয়ে গ্রাহকেরা নিজেদের সেভিংস অ্যাকাউন্টকে জন ধন অ্যাকাউন্টে পাল্টাতে পারেন। এর জন্য আবেদন করতে হয়। ফর্ম জমা দেওয়ার পরে ডেবিট কার্ড জারি হলে সেভিংস অ্যাকাউন্টটি আলাদা ভাবে জন ধন অ্যাকাউন্টে পাল্টে যায়।

জেনে নিন এর সুবিধাগুলো:

১. এই অ্যাকাউন্টের ন্যূনতম নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রাখার নিয়ম নেই। তবে যদি চেক বই থাকে তাহলে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখতে হবে।

২. জন ধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে যে ব্যাংকে, সেই ব্যাঙ্কে জমানো টাকার ওপর সুদ পাওয়া যায়।

৩. বিনা মূল্যে মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা রয়েছে।

৪. দুর্ঘটনা হলে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে

৫. আপনিও নিজের ৩০,০০০ টাকার বিমা করতে পারেন। গ্রাহকের মৃত্যুর পর গ্রাহকের নমিনি করা ব্যক্তি সেই বিমা পাবেন।

নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যে সব ডকুমেন্ট প্রয়োজন

নতুন জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। এতে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ব্যাংকের শাখার নাম, পেশা, নির্ভরশীলদের সংখ্যা, বার্ষিক আয়, নমিনি, গ্রামের কোড বা শহরের কোড ইত্যাদি জানাতে হবে। সেই সঙ্গে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি কার্ড জমা দিতে হবে।