Winter Skin Care: তরতাজা থাকবে ত্বক, যদি রোজকার তালিকা থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলেন মিষ্টি

Skin care tips: মিষ্টি শরীরের কোনও কাজেই লাগে না। তাই ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক সুগারেই

Winter Skin Care: তরতাজা থাকবে ত্বক, যদি রোজকার তালিকা থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলেন মিষ্টি
মিষ্টির লোভ আজই সামলান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 2:56 PM

শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয় মিষ্টি। সুগার বাড়ে, কোলেস্টেরল বাড়ে, ওজন বাড়ে। তবে এই সব জানার পরও অধিকাংশের চোখ টানে মিষ্টিতেই। চোখের সামনে মিষ্টি, মণ্ডা, ক্যান্ডি, আইসক্রিম, চকোলেট সাজানো থাকলে কার আর চোখ আটকে থাকে। আর মিষ্টি এমনই একটা কাবার একটা খেয়ে কিছুতেই থেমে থাকা যায় না। মিষ্টির নেশা সর্বনাশা। আর রাত যত বাীড়ে তত যেন মিষ্টির প্রতি লোভ বাড়ে। রাতে মিষ্টি খেলে শরীরের জন্য সবচাইতে ক্ষতি। ওজন বাড়ে, কোলেস্টেরল বাড়ে সঙ্গে সুগার তো বাড়েই। এই একটা দুটো মিষ্টি খেতে খেতেই বেশি খাওয়া হয়ে যায়। অতিরিক্ত এই মিষ্টি প্রভাব ফেলে আমাদের ত্বকেও। ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়,  প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। শীতে যেহেতু খাওয়া দাওয়া বেশি হয় তাই ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে।

মিষ্টি নিয়মিত ভাবে খেলে যে ভাবে ত্বকের ক্ষতি হয়-

মিষ্টি শরীরের অতিরিক্ত শক্তি খেয়ে নেয়। অর্থাৎ শর্করা হজম করতে বেশি পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়। শরীরে শর্করা ঝুকলে তা ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। এই গ্লুকোজ় ত্বকের কোলাজেনের সঙ্গে আটকে যায়। ফলে ত্বকে বলিরেখা তাড়াতাড়ি আসে। ত্বক কুঁচকেও যায়। এদিকে ত্বক টানটান রাখতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রয়েছে কোলাজনের। অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি খেলে কোলাজেন শক্ত হয়ে যায়। ফলে ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়। তারুণ্য বজায় থাকে না।

ত্বকে দ্রুত যেমন বয়সের ছাপ পড়ে তেমনই রোদ, দূষণেও ত্বকের ক্ষতি হয়। ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে যায়। ত্বকে কালো ছোপও পড়ে যায়। কোলাজেনের কার্যক্ষমতা কমে গেলে তখন আর কিছুই করার থাকে না। বার বার ফেসিয়াল করলেও লাভ হয় না।

মিষ্টি শরীর থেকে অতিরিক্ত জল শুষে নেয়। যত বেশি মিষ্টি খাওয়া হয় ততই যেন ত্বকের রুক্ষ্মতা বাড়তে থাকে। চিনি শরীরের অতিরিক্ত জল শোষণ করে নেয় বলে ত্বক বিবর্ণ দেখায়। আর মিষ্টি খেলে জল কম খাওয়া হয়। তাই মিষ্টি একেবারেই বাদ দিন রোজকারের তালিকা থেকে। এমনকী চায়েও চিনি খাবেন না।

তা হলে কি মিষ্টি একেবারেই বাদ? 

মিষ্টি শরীরের কোনও কাজেই লাগে না। তাই ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক সুগারেই। খেজুর খান। ফল খান। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন প্রাকৃতিক লাড্ডু। এছাড়াও ড্রাই ফ্রটসও খেতে পারেন। শাক, সবজি বেশি করে খান। রোজ একবাটি করে ডাল অবশ্যই খাবেন। চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম সুগারও একেবারেই খাবেন না। কারণ তা শরীরের জন্য আরও বেশি খারাপ।