Rice Water for Hair: চাল ধোওয়া জল কি আদৌ চুলের সমস্যা দূর করে? জানুন আসল সত্য
Hair Care Tips: ক্রমাগত দূষণের চুল তার প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। যদিও এর পিছনে অত্যধিক পরিমাণে প্রসাধনী পণ্যের ব্যবহারও দায়ী।
নামী-দামি ব্র্যান্ডেড শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, ১৫ দিন অন্তর হেয়ার স্পা-ই যে একমাত্র আপনার চুলের যত্ন নিতে পারে তা কিন্তু নয়। অনেক সময় সামান্য ঘরোয়া উপাদানও আপনার চুলের দেখভাল করতে পারে। এমনকী আপনার রান্নাঘরে যে সব উপাদান ডাস্টবিনে ফেলে দেন, সেগুলোও অনেক সময় আপনার রূপচর্চার অংশ হয়ে উঠতে পারে। এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে রাইস ওয়াটার বা চাল ধোওয়া জল। রাইস ওয়াটারের মধ্যে রয়েছে সেই সব প্রয়োজনীয় উপাদান যা আপনার চুলে পুষ্টির জোগান দেবে। ঘন, মসৃণ ও বাউন্সি চুল পেতে গেলে রাইস ওয়াটার ব্যবহার করুন।
রাইস ওয়াটার বা চাল ধোওয়া জলের মধ্যে প্রয়োজনীয় মিনারেল, ভিটামিন বি, সি এবং ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফলিক অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত রাইস ওয়াটার ব্যবহার করলে ঘন, লম্বা ও মজবুত চুল পাওয়া যায়। রাইস ওয়াটারের মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও নিয়াসিন যা চুলের পাশাপাশি স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যকেও ভাল রাখে।
ক্রমাগত দূষণের চুল তার প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। যদিও এর পিছনে অত্যধিক পরিমাণে প্রসাধনী পণ্যের ব্যবহারও দায়ী। রাইস ওয়াটার চুলে হাইড্রেশন যোগ করে। ফলে চুল তার হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে ধীরে-ধীরে। রাইস ওয়াটারে নিয়াসিন, ফলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো থাকায় এটি চুলের বৃদ্ধিকেও ত্বরান্বিত করে। পাশাপাশি এই উপাদানটি চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আপনি এই রাইস ওয়াটারকে চুলের যত্নে যোগ করবেন কীভাবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক…
এক মুঠো চাল নিয়ে প্রথমে জলে ধুয়ে নিন। এবার সাধারণ জলে ওই চাল ভিজিয়ে রাখুন। জলটা ঘোলাটে হওয়া অবধি ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর চালটা ছেঁকে জলটা আলাদা করে নিন। এবার ওই চাল ধোওয়া জলটা ১২ ঘণ্টার জন্য আলাদা একটা পাত্রে রেখে দিন। ১২ ঘণ্টা পর ওই জলটা একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে নিন। এবার এই জলটা দিয়ে চুলে স্প্রে করুন।
শ্যাম্পু করার অন্তর আধ ঘণ্টা আগে চুলে এই রাইস ওয়াটারটা স্প্রে করুন। এরপর হালকা হাতে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ রাখার পর শ্যাম্পু করে নিন। রাইস ওয়াটার ব্যবহার করার পর চেষ্টা করুন ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করার। বেশি ক্ষার-যুক্ত শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুন। এতে চুলের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি অত্যধিক পরিমাণে হেয়ার স্টাইলিং পণ্য এড়িয়ে চলুন।