Skincare tips: গর্ভাবস্থায় ত্বকের প্রচুর সমস্য়া! এই সময় ভুল কসমেটিক্স ব্যবহার করলেই বিপদ
Beauty Secrets: শুধুমাত্র সীমিত তথ্যের কারণেই নয়, গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও প্রত্যেক নারীর নানারকম সমস্যা দেখা যায়।
কথায় আছে, মা হওয়া কি মুখের কথা? একজন মহিলা তাঁর জীবনের সবটুকু দিয়ে তবেই মাতৃত্বের (Motherhood) স্বাদ পান। শতকষ্ট হলেও প্রত্যেক নারীর কাছেই মাতৃত্ব হওয়ার একটি সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতি রয়েছে। আর এই সময়টাই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় (Pregnancy) ত্বকে আগের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। স্কিনকেয়ার ও ইলেকটিভ কসমেটিক পদ্ধতিতেও রয়েছে সীমিত তথ্য। তবে এই সময় কোন উপাদান ত্বকের (SkinCare Tips)পক্ষে ক্ষতিকারক, কোনটি গর্ভবতীদের জন্য পারফেক্ট, তার একটি বেসিক ধারণা এখানে দেওয়া হল।
সবার আগে মাথায় রাখতে হবে. নিজের যত্বের কথা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। নিজের জন্য কোনটা ভাল, কোনটি ক্ষতিকর, তা নিজেই সিদ্ধান্ত নিন। অন্যের পরামর্শ অনুযায়ী ত্বক কেন, ত্বকের মাধ্য়মে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি সৃষ্টি করবেন না। শুধুমাত্র সীমিত তথ্যের কারণেই নয়, গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও প্রত্যেক নারীর নানারকম সমস্যা দেখা যায়। শুধু মায়ের খাবার, ওষুধ, ফিটনেস এবং মনের ক্ষেত্রেই সতর্কতা নয়,ত্বকেরও যত্ন নিতে হবে।
কোন কোন উপাদান এড়িয়ে যাবেন, কোনগুলি গ্রহণ করবেন, তা আগে জানুন
– রেটিনয়েডস (টপিকাল এবং ওরাল), হাইড্রোকুইনোন, আরবুটিন (হেডকিউর ডেরিভেটিভ) স্যালিসিলিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, বেনজয়াল পারক্সাইড এবং বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক-যুক্ত সানস্ক্রিনের মতো উপাদানগুলি গর্ভাবস্থায় সমস্যার কারণ হতে পারে।
– ত্বকের জন্য ভিটামিন সি-র মতো উপাদান অত্যন্ত ভাল। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, গ্রিন টি নির্যাস, কোজিক অ্যাসিড, অ্যাজেলেইক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড, অ্যালোভেরা এবং এএইচএএস এই উপাদানগুলি যে যে কসমেটিক্সে ব্যবহার করা হয়, সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
– হরমোন ও নানারকম খাবারের কারণে ত্বকের উপর র্যাশেস ও ব্রণের প্রবণতা দেখা যায়। তবে এই সমস্য়া নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। তবে এই ব্রণ হঠাতে গিয়ে কখনও বোটক্স, ফিলার, লেজার এবং স্ক্লেরোথেরাপি করাতে যাবেন না। যে কসমেটিক্স ব্যবহার করছেন, তাতে AHA (আলফা হাইড্রক্সি, কম শতাংশে অ্যাসিড), অ্যাজেলেইক অ্যাসিড থাকলে ভাল।
– গর্ভাবস্থায় হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করতে সান প্রোটেকশন, DE TO 208 ভিটামিন সি (কোন শতাংশ) অ্যাজেলেইক অ্যাসিড (যে কোনও শতাংশ), ARE (নিয়াসিনামাইড, AHA (কম শতাংশে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড) বর্জন করবেন না।
– বাইরে বের হলে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিনের পাশাপাশি টুপি বা ছাতা, দুটি সানগ্লাস সঙ্গে রাখুন। যতটা সম্ভব হাইড্রেটেড থাকতে চেষ্টা করুন। শরীর আর্দ্র থাকলে তবেই ত্বকের সমস্যাগুলি বেশি প্রকট হয় না।