Face Steaming: স্ক্রাবিং কিংবা বিউটি প্যাক নয়, ফি রবিবার তুলসি পাতা দিয়ে মুখে ভাপ নিলেই চমকাবে কাচের মত
Facial Steaming at Home: জল গরম করতে বসিয়ে ওর মধ্যে কয়েকটা তুলসি পাতা ফেলে দিয়ে ভাপ নিন। এতে মুখ পরিষ্কার হবে, ত্বকের মুখগুলি ফুলে যাবে। পাশাপাশি মাথাব্যথাও কমবে
গরম পড়তেই চুল আর ত্বকের দফারফা। শীতে ক্রিম-যত্নের গুণে মুখ পরিষ্কার থাকে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও সমস্যা থাকে না। তাপমাত্রা কম থাকায় শীতে ত্বক বেশ ভাল থাকে। গরম পড়তেই ত্বক আবার শুকিয়ে যেতে শুরু করে। রোদ, দূষণ এসব ত্বকের উপর খুবই বেশি প্রভাব ফেলে। ঘামের মধ্যে ধুলো বসলে ত্বকের উপর তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে। সেই সঙ্গে ব্রণর সমস্যা হয়। এছাড়াও গরমে ত্বক থেকে বেশি পরিমাণ তেল নিঃসৃত হয়। আর তৈলাক্ত ত্বকেই সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি। গরমে নানাল রকম অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি এসব লেগেই থাকে। আর তাই এই সমস্যা এড়াতে এবং মুখ পরিষ্কার রাখতে স্ক্রাবিং করার কথা বলা হয়। গরমের দিনে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন স্ক্রাবিং খুবই জরুরি।
এছাড়াও সারাবছর দিনের মধ্যে দুবার ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোওয়া উচিত। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে তবেই ঘুমোন। এক্ষেত্রে বাডারচলতি স্ক্রাবিং এর পরিবর্তে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারলেই সবচেয়ে ভাল। কফি, চালের গুঁড়ো, চিনি, লেবুর রস আর সামান্য মধু একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার বানিয়ে নিন। গরমের দিনে টকদই, বেসন, টমেটো এসব ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য খুবই ভাল। ঘরোয়া উপাদানেই ত্বক বেশি ভাল থাকে। আলাদা করে আর ফেশিয়ালের প্রয়োজন পড়ে না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল যদি স্টিম নিতে পারেন।
সপ্তাহে একদিন ভাল করে স্টিম নিলেই ডিপ ক্লিন হয়ে যায়। জলের মধ্যে তুলসি পাতা ফেলে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে তারপর স্টিম নিন। এতে মুখের জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে আসবে। ত্ববকে খুব ভাল করে এক্সফোলিয়েটও করবে। স্টিম নিলে পোরসের মধ্যে থাকা ময়লা বেরিয়ে আসে। কোনও রকম ব্যাকটেরিয়া ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। আর ত্বক বেশ ভাল থাকে। যে কারণে ফেসিয়ালের সময় এই স্টিম দেওয়া হয়।
তবে রোজ রোজ স্টিম নেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে রবিবারে গ্যাসে জল বসিয়ে মুখে খুব ভাল করে স্টিম দিয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন স্টিম নিলেই মুখ চকচক করবে। যাবতীয় তেল-ময়লাও দূর হয়ে যাবে। মুখে অ্যালার্জি, লাল হয়ে যাওয়া এই সব সমস্যাও হবে না।