Happy Couple Chemistry: কী-কী করলে জুটবে সুখী দম্পতির তকমা, রইল কিছু সহজ টিপস
Successful Married Life: একসঙ্গে কাপ-প্লেট পাশাপাশি থাকলে ঠোকাঠুকি তো লাগবেই। দাম্পত্যও কিন্তু ঠিক তেমনই। নিজেদের স্বামী-স্ত্রী ভাবার আগে একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠুন। দেখবেন যে কোনও বিষয় অনেক সহজেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে...
Happy Couple Tips: টিনটিন আর তিয়ার প্রেম তিন বছরের। এই তিন বছরে ওরা দু’জনের দারুণ বন্ধু হয়ে উঠেছে। দু’জন দু’শহরের বাসিন্দা। তবুও সময় পেলেই সারপ্রাইজ় ভিজিট, ঘুরতে যাওয়া, পছন্দের খাবার পাঠানো, পছন্দের উপহার কিছুই বাকি থাকে না। বন্ধুদের চোখে ওরা Ideal Happy Couple। নিজেদের কাজ, ব্যস্ত সময়ের মাঝে দু’জনের জন্য যে ভাবে সময় বের করে নেয়, তা দেখে অবাক বন্ধুরাও। তাই বলে কি ঝগড়া হয় না! কিন্তু সেই ঝগড়া থেকেও ওরা নিজেদের জন্য একটা লার্নিং সেশন রাখে। কেন ঝামেলা হল, কী কারণে হল, পরের বার থেকে কোন-কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে, এসব নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নেয়। তিন বছরের প্রেম আর এক বছরের বিয়ে মিলিয়ে ওদের দাম্পত্য জীবন এক্কেবারে ‘ক্লাউড নাইন’-এ। শুধু বন্ধুমহলেই নয়, আত্মীয়রাও ওদের জুটির দারুণ প্রশংসা করে। বন্ধুরা তো মজা করে তিয়াকে জিগ্যেস করে মাঝেমধ্যেই: ‘সিক্রেটটা কী’?
সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে কে আর না চায়! কিন্তু প্রতিদিন অনেক রকম বাধা বিপত্তির সঙ্গে লড়াই করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। প্রতিনিয়ত আমাদের চাহিদার পরিবর্তন হয়। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে কিন্তু থাকে সময়। বসে কথা বলার মতো সময় মানুষের হাতে খুব কম। আর তাই যে সব টুকরো ঝামেলা সামনে বসে কথা বললেই মিটে যায়, সেই সুযোগটুকুও অনেকে দেন না। তাই কিছু সহজ পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। Ultrarich match- এর কর্ণধার সৌরভ গোস্বামীর সঙ্গে HT Digital -এর বিশেষ একটি আলোচনায় উঠে এসেছে বিশেষ কিছু তথ্য-
টাইম ম্যানেজমেন্ট
শুনতে তুচ্ছ হলেও এই ছোট্ট দু’টি শব্দের জীবনে বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কর্মক্ষেত্র থেকে ব্যক্তিগত জীবন—সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে মুশকিল। কারণ, সময়ই সব জবাব দেয়। ব্যস্ততা কোনওদিনও কমবে না। আর তাই সেই ফাঁক থেকেই সময় বের করে নিতে হবে। কোন সময়ে কোন কাজ করবেন, তা ঠিক করা কিন্তু ভীষণ জরুরি। সপ্তাহে একদিন হলেও কিছুটা সময় রাখুন শুধুমাত্র নিজেদের জন্য।
মাঝেমধ্যেই ডেটে যান
দু’বছরের পুরনো দাম্পত্য জীবন, তাই বলে ডেটে যাবেন না? সময় পেলেই বেড়িয়ে পড়ুন সঙ্গীকে নিয়ে। উইকএন্ডে যান লং ড্রাইভে। এছাড়াও সপ্তাহের মাঝখানে কোথাও সারপ্রাইজ় ডিনার, ক্যান্ডেললাইট ডিনার, পছন্দের ট্রিপ—এসব কিন্তু খুব জরুরি। আর ট্রিপে গিয়ে ঝামেলা কিংবা কাজের কথা নয়। বরং সময়টা উপভোগ করুন। নিজেদের কথা বলুন। সন্তান থাকলে তাকে নিয়ে আলোচনা করুন। আলোচনা করতে পারেন পরিবারের আর্থিক বিষয়েও। ‘কথা বলা’ আর ‘একে অন্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা’ দু’টো কিন্তু একেবারে অন্য বিষয়।
বিবাদ মিটিয়ে ফলুন
নিজেদের মধ্যে ঝামেলা, অশান্তি অকারণে টেনে নিয়ে যাবেন না। বরং সামনাসামনি বসে কথা বলে তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। এতে সম্পর্ক ভাল থাকবে। বিবাদ মনের মধ্যে চেপে রাখলে তিক্ততা বাড়ে। সব সময় চিৎকার ঝামেলা করে সমস্যার সমাধান হয় না। শান্ত হয়ে ঠান্ডা মাথায় বসে কথা বলুন।
একে অন্যকে সম্মান করুন
সম্পর্কে একে অন্যের প্রতি সম্মান থাকাও ভীষণ জরুরি। তাই ভুল, খুঁত এসব না ধরে আগে একে অন্যকে সম্মান করুন। নিজেদের কাজকে সম্মান করুন। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা নয়। প্রাইভেসি বজায় রাখা কিন্তু দু’জনেরই কর্তব্য। কাউকে অবজ্ঞা নয়, বরং দু’জনের কথা দু’জনেই মন দিয়ে শুনুন। এবার যুক্তি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
সঙ্গীর সেরা দিকটি খুঁজে নিন
প্রত্যেক সম্পর্কেই কিছু না কিছু স্পেশ্যাল থাকে। একজন মানুষকে ভাল লাগে বলেই যে তাঁর সঙ্গে বিবাহিত জীবন শুরু করেছেন, এমনটা কিন্তু নয়। কোনও একদিন সঙ্গীর এমন কোনও কাজ আপনার ভাল লেগেছিল, যেখান থেকে এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। আর তাই সঙ্গীর প্রশংসা করুন। এতে তাঁরও ভাল লাগবে। নিজেদের মধ্যেকার বন্ধন দৃঢ় হবে।
তথ্য সৌজন্যে- HT Digital