Skin Tone In Fashion: সৌন্দর্যের রং ‘সাদা’ নয়, রহল্য লুকিয়ে বাদামিতেই
Dusk Beauty: কৃষ্ণকলি আমরা তাকেই বলি, সত্যিই মন থেকে মেনে নিতে পারি তো?
বিজ্ঞাপনে সৌন্দর্য মাপার চাবিকাঠি হল উজ্জ্বল ত্বক, চিকন কালো চুল, মেদহীন চেহারা। বাজার জুড়ে ফরসা হওয়ার ক্রিমের চাহিদা তুঙ্গে। ফেয়ারনেস ক্রিম, সাবান, লোশন সকলেই ছুটছে পাল্লা দিয়ে। কারণ ছেলে, মেয়ে নির্বিশেষে সকলের টার্গেট ফরসা রং পাওয়া। পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে আজও লেখা থাকে ফরসা পাত্রী চাই। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণাদের চাহিদা কিঞ্চিত কম। তবে গল্প উপন্যাসে তাদের অবারিত দ্বার। সিনেমার পর্দায়, গল্পের পাতায় সকলেই তাঁদের কথা পড়তে চান। তাঁদের দেখতে চান। তবে বাস্তব জীবনে এদের কদর বড়ই কম। সেখানে সুন্দরী ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। রূপকথার গল্প হোক কিংবা পুরাণ- সুন্দরী মহিলাদের তুলনা সব সময় এসেছে ফরসা ত্বকের সঙ্গেই। অপরূপা সুন্দর যদি কেউ হন তাহলে ধরে নেওয়াই হয় যে তাঁর গাত্রবর্ণ থেকে ঠিক যেন সোনা ঠিকরে বেরোচ্ছে। সত্যিই কি এমনটা হয় বাস্তবেও?
কেনিয়ার বাসিন্দা ড্রিয়া আলেকজেন্ডায়। একদিকে তিনি মডেল, অন্যদিকে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। শ্যামবর্ণা এই মডেল কখনওই তাঁর গায়ের রং নিয়ে ভাবিত হননি। বরাবর এই রং নিয়েই তিনি গর্ব করে এসেছেন। সেমিন্যুড ফটোশ্যিটও করেছেন। নিজেকে বাদামী বলতে দ্বিধাবোধ করেন না। নিজের গোষ্ঠী, নিজের ইতিহাস নিয়ে খুবই সচেতন ড্রিয়া। যা তাঁর ফ্যাশানে ফুটে উঠেছে একাধিকবার। নিজের অস্তিত্ব, নিজের গাত্রবর্ণ নিয়ে বার বার সোচ্চার হয়েছেন তিনি।
কথায় কথায় আমরা তুলনা করি, সোনার মত গাত্রবর্ণ। পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর তাকেই তুলনা করা হয় সোনার সঙ্গে। গায়ের রং চাপা হলে তাঁকে সোনা ঠিক মানায় না-এমন কথা বলতে শোনা যায় একাধিককে। যে কোনও গল্প, উপন্যাসে সোনার অধিকারী তাঁদেরই বলা হয় যাঁরা প্রভাবশালী। কোনও ছবি, কোনও বিজ্ঞাপনে কখনও এরকম দেখানো হয়নি যে দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দারা সোনা পরেছেন এবং তা দেখতে ভাল লাগছে। যা কিছু সুন্দরের প্রতীক তাকেই সোনার সঙ্গে তুলনা করা আমাদের অভ্যাস।
View this post on Instagram
ইতিহাস বলে মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা রোজ একগ্লাস করে ওয়াইন খেতেন। আর সেই ওয়াইনের মধ্যে থাকত একটা মুক্তো। যা তাঁর অসীম সৈন্দর্যের অন্যতম কারণ। জাপানে এখনও এক ধরণের পানীয়ের প্রচল আছে যার সঙ্গে মুক্তো মেশানো থাকে। চতুর্দশ শতকে আরব সাগরে বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ডুবুরীদের কোমরে মুক্তা রাখার কাহিনীর কথা বর্ণনা করেন। এর মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী মুক্তোর গুণগান ছড়িয়ে পড়ে। সব ঝিনুকের মধ্যে মধ্যে মুক্তো খুঁজে পাওয়া যায় না। এই কথাই ড্রিয়া তুলে ধরেছেন তাঁর পোস্টে। ”সোনার মত মুক্তোকেও আগলে রাখতে হয়। কালো মানুষদেরও মুক্তো মানায়। তাঁদের সৌন্দর্য অলক্ষ্যে খুঁজে নিতে হয়। Happy Black History Month!”