Rujuta Diwekar: ‘অ্যাপেল সিডার ভিনিগার আর লেবু-মধুর জলে যদি সত্যিই উপকার হয়, তাহলে আমি কাজ বন্ধ করে দেব’
সুস্থ থাকতে বরাবর ঘরের তৈরি খাবারের উপরই জোর দেন রুজুতা। স্থানীয় খাবার, স্থানীয় ফসলেই কিন্তু আমাদের শরীর থাকে সবচেয়ে সুস্থ
আজকাল সকলেই কিন্তু ওজন কমানোর ( Weight loss) লক্ষ্যে ছুটছেন। বেশিরভাগের ধারণা সাতদিন ডায়েট ( Diet Tips) আর নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করলেই ওজন ঝরে যাবে। অনেকের কাছে ডায়েটের অর্থ হল একেবারেই না খেয়ে থাকা। কিন্তু এই সব ভাবনা যে পুরোপুরি ভুল সেকথা একাধিকবার বলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। ওজন কমাতে সকলেই জোর দেন জীবনযাত্রার ( Lifestyle) উপরে। রোজকার একটা রুটিন মেনে চলতে পারলে শরীর যেমন ভাল থাকবে তেমনই কিন্তু ওজনও কমবে। পরিমিত খাওয়া, শরীরচর্চা করা, পর্যাপ্ত ঘুম- সবই কিন্তু প্রয়োেজন সুস্থ থাকতে গেলে। এছাড়াও শরীরের জন্য কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবই প্রয়োজন।
তাই কার্বোহাইড্রেট বা ফ্যাট একেবারেই ছেঁটে ফেললে তাড়াতাড়ি রোগা হয়ে যাবেন, এমনটা ভাবাও ঠিক নয়। ইন্টারনেটে এখন অনেক রকম ডায়েট চার্ট পাওয়া যায়। বেশিরভাগই কিন্তু সেই ডায়েট মেনে চলার দিকেই ঝোঁকেন। কিন্তু প্রতিটা মানুষের ডায়েট আলাদা হয়। বয়স, লিঙ্গ, ওজন, ফুড হ্যাবিট এবং শারীরিক সমস্যার উপর নির্ভর করে ডায়েট চার্ট বানানো হয়। কাজেই অন্যেরা যে ডায়েট মেনে রোগা হয়েছেন, সেই ডায়েট মানলে যে আপনিও রোগা হয়ে যাবেন এমনটা নয়।
এছাড়াও ওজন কমাতে জিরে, মেথি থেকে শুরু করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার অনেকেরই ভরসা। এমনকী অনেকেই আছেন যাঁরা রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়ম করে ইষদুষ্ণ জলে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খান। অনেকেই ভাবেন এতে বুঝি ওজন কমে। সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়াকর সব সময় ঘরের বানানো খাবারের উপর জোর দেন। দিদা- ঠাকুমারা যে সব খাবার খেয়ে সুস্থ থাকতেন সেই সব খাবারই আমাদের শরীরের জন্য সেরা। বরাবর সবাইকে তিনি সেই পরামর্শ দেন। কুল থেকে কচু- সবই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য সেরা। এবার রুজুতা গর্জে উঠলেন অতি সাধারণ এই কয়েকটি পানীয়ের উপর। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার, লেবুর জল কিংবা লাউয়ের রস খেলে চটজলদি ফ্যাট গলবে-এমন বহু প্রতিবেদন অনেকেই দেখেছেন। আর রুজুতার প্রশ্ন সেখানেই। সত্যিই যদি এসব টোটকায় কাজ হয় তাহলে তিনি কাজ করা বন্ধ করে দেবেন।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় রুজুতার এই পোস্টের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে অনেকেই তাঁকে অনুরোধ করেছেন তিনি দেশজ খাবার নিয়ে যে ভাবে লড়াই করছেন, মানুষকে সতর্ক করছেন তা যেন চালিয়ে যান।
View this post on Instagram
আর তাই রুজুতার ডায়েট মানেই সেখানে তিলের নাড়ু, ঘি, রুটি, সবজির তরকারি, আচার, টকদই সবই থাকে। রুজুতা বার বার জোর দেন, আমাদের স্থানীয় সবজির উপরে। স্থানীয় খাবারের উপরে। উৎসব ভেদে বাড়িতে বাড়িতে যে সব খাবার বানানো হয় তাও কিন্তু আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়। শরীরের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম সবই কিন্তু আসে সেই সব খাবার থেকে। সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও জরুরি। তবেই কিন্তু কমবে অতিরিক্ত ওজন।