West Bengal Weather Update: রোদ-বৃষ্টির ‘অশনি’ সংকেতে হঠাৎ ডিপ্রেশন? এই সব খাবারে মন ভাল হবেই
Good mood foods for depression: আবহাওয়া প্রভাব ফেলে আমাদের মনেও। আর তাই হঠাৎ বৃষ্টিতে মন উদাসীন হয়ে গেলে পাতে রাখুন বিশেষ এই কয়েকটি খাবার। এতে মন ভাল হবে মুহূর্তেই
আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে তার প্রভাব কিন্তু পড়ে আমাদের মনেও। গত সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গ পুড়ছিল তাপপ্রবাহে। গরমের চোটে বাড়ির বাইরে বেরনোও ছিল কষ্টকর। জেলায় জেলায় পারদ ছিল ৪৫ ছুঁই ছুঁই। নবান্ন থেকেও জারি করা হয়েছিল আবহাওয়া সম্পর্কিত বিশেষ সতর্কতা। রবিবার থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন এসেছে। নেপথ্য কারণ অবশ্য ঘূর্ণিঝড় অশনি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখ এখন যা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কোনও রকম বিপদের সম্ভাবনা নেই। তবে আগামিকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পাঁচ জেলায়। সোমবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বেশ কিছু অঞ্চল। বৃষ্টি হয়েছে দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরেও। সপ্তাহের শুরুতে এমন খামখেয়ালি বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরবাসী। অফিস আসার পথে বৃষ্টিতে ভিজে কেউ যেমন জ্বর-সর্দি বাঁধিয়েছেন তেমনই কারোর মন উদাস। এমন কর্মব্যস্ত দিনে বৃষ্টি দেখতে কার না ভাললাগে! ক্রমবর্ধমান কাজের চাপে মনটাকে তখন আর কাঁচ ঢাকা ঠান্ডা ধরে বন্দি করে রাখা দায়। আর তাই কাজ করতে করতেই মুখ চালান। সঙ্গে এই কয়েকটি খাবার থাকলে মন-শরীর থাকবে সুস্থ। বাড়বে কাজের গতিও।
আর তাই দিনের শুরু হোক হেলদি ব্রেকফাস্ট দিয়ে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই আবহাওয়াতে সবচেয়ে ভাল অঙ্কুরিত ছোলা-মুগ খাওয়া। সেই সঙ্গে অবশ্যই ড্রাইফ্রুটস, বাদামও সঙ্গে রাখবেন। মিড মজ্ঞনিং স্ন্যাকস হিসেবে ডাবের জল খেতে পারেন। এতে শরীর যেমন যথাযথ পুষ্টি পাবে তেমনই মিটবে প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদাও। পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়ালের মতে এই সময় ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, ক্লান্তি বেশি থাকে। যে কারণে তিনি বিশেষ কিছু খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন।
ব্রেকফাস্টে থাক দুধ আর ডিম
ব্রেকফাস্টে অবশ্যই রাখুন ডিম আর দুধ। ডিম আমাদের সারাদিনের শক্তি জোগায়। ডিমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড। থাকে ভাল ফ্যাট। দুধের মধ্যে থাকে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন। সেই সঙ্গে থাকে প্রোটিন, সোডিয়াম, ফোলেট, সেলেনিয়াম, ক্যালশিয়াম। আর ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় ডিহাইড্রেশন থেকে আমাদের রক্ষা করে।
মরশুমি ফল
এই সময় বাজারে প্রচুর পরিমাণ ফল পাওয়া যায়। তরমুজ, আনারস, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আম এসব কিন্তু তালিকাতে রাখতে একেবারেই ভুলবেন না। এই সব ফলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। যা ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এই সব ফল প্রিজে রেখে ঠান্ডা করেও খাওয়া যায়।
শাক-সবজি
গরমকালে লাউ, কুমড়ো, ব্রকোলি, করলা, শসা ইত্যাদি সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এতে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা এড়ানো যাবে। এই সব সবজির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে জল এবং পটাশিয়াম। যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইভনিং স্ন্যাকস
এই খাবারটির কিন্তু বিশেষ গুরুত্ব আছে। সবুজ মুগ, স্প্রাউট, পালং শাক, লেবু, বাদাম, বিভিন্ন বীজ এসব অবশ্যই রাখুন রোজকারের ডায়েটে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ যাতে খাবারের মধ্যে থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন। এতে কোষ শক্তি পাবে, তেমনই বিপাক ভাল হবে।
জল বেশি করে খান
সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান। জলের পাশাপাশি আদা-গোলমরিচ দেওয়া গ্রিন টি, ডাবের জল, লেবু জল এসবও খেতে ভুলবেন না। এতে শরীর থেকে ডিটক্সিফিকেশন ভাল হবে। সেই সঙ্গে এই সব পানীয় সারাদিন আমাদের ফ্রেশ থাকতে সাহায্য করবে।