Kumaoni Raita: উত্তরাখণ্ডের কুমায়নি রায়তায় রয়েছে পাহাড়ি ছোঁয়া, যা আপনি অন্য কোথাও খুঁজে পাবেন না!

আপনি যদি অনেক ধরনের রায়তা খেয়েও থাকেন, তাহলেও এই উত্তরাখণ্ডের কুমায়নি রায়তা খাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কসরত করতে হবে। কারণ উত্তরাখণ্ডের মানুষ এবং বিশেষ করে গাড়োয়াল ও কুমায়ুন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে কুমায়নি রায়তার প্রতি আকর্ষণ ও ভালবাসা অপ্রয়োজনীয় নয়।

Kumaoni Raita: উত্তরাখণ্ডের কুমায়নি রায়তায় রয়েছে পাহাড়ি ছোঁয়া, যা আপনি অন্য কোথাও খুঁজে পাবেন না!
কুমায়নি রায়তা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 10:43 AM

ভারতের প্রায় সব প্রদেশেই, খাবার তখনই সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয় যখন এতে নোনতা, টক এবং মিষ্টির একত্র মিশ্রণ থাকে। নোনতা ডাল এবং শাকসবজির তরকারি থাকলে তার সঙ্গে থাকবে টক আচার ও চাটনি কিংবা রায়তা। আর শেষপাতে মিষ্টি তো রয়েছে।

ভারতীয় খাবারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল রায়তা। উত্তর হোক বা দক্ষিণ কিংবা পশ্চিম, ভারতের সব রাজ্যেই এই খাবারের চল রয়েছে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের রায়তা, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক আলাদা এবং সুস্বাদু। উত্তরাখণ্ডের রায়তাকে বলা হয় কুমায়নি রায়তা কিংবা কুমায়নি ক্ষীরা কা রায়তা।

বিয়ে হোক বা কোনও শুভ অনুষ্ঠান উত্তরাখণ্ডের যে কোনও উৎসবে রন্ধিত হয় এই কুমায়নি রায়তা কিংবা কুমায়নি ক্ষীরা কা রায়তা। তাছাড়াও গ্রীষ্মের দিনে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এই খাবার খাওয়া হয়। যদিও ভারতীয়দের মধ্যে এই খাবারের জনপ্রিয়তা একটু অন্য।

রায়তা দই দিয়ে তৈরি একটি ভারতীয় খাবার যা উত্তরাখণ্ড এবং বিশেষত কুমায়ুন অঞ্চলে খুব জনপ্রিয়। দইকে ফেটিয়ে নেওয়া হয় প্রথমে এবং তারপর তাতে পেঁয়াজ, শসা, টমেটো, বা বেসনের বোঁদে বা আনারস মত উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা হয় রায়তা। এ সব ছাড়াও রোস্টেড জিরে, হিং এবং কখনও কখনও পুদিনাও এতে যুক্ত করা হয়। এটি রুটি, ভাত বা আটার লুচির মতো অন্যান্য খাবারের সঙ্গে একটি সাইড ডিশ হিসাবে পরিবেশন করে।

আপনি যদি অনেক ধরনের রায়তা খেয়েও থাকেন, তাহলেও এই উত্তরাখণ্ডের কুমায়নি রায়তা খাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কসরত করতে হবে। কারণ উত্তরাখণ্ডের মানুষ এবং বিশেষ করে গাড়োয়াল ও কুমায়ুন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে কুমায়নি রায়তার প্রতি আকর্ষণ ও ভালবাসা অপ্রয়োজনীয় নয়।

মূলত ভারতের অন্যান্য রাজ্যের রায়তার স্বাদ টক। কিন্তু এই কুমায়নি রায়তার স্বাদ একটু আলাদা। কুমাওনি রায়তায় টক ভাব থাকলেও এতে রয়েছে পাহাড়ি কাখাদি, পাহাড়ি মশলা, সর্ষের বীজ এবং পাহাড়ি লঙ্কা। উত্তরাখণ্ডের জলবায়ুর এই প্রভাব কুমায়নি রায়তায় বেশ লক্ষ্য করা যায়।

কুমায়নি রায়তার এই স্বাদের পিছনে মূলত লুকিয়ে আছে পাহাড়ি কাখাদি যা হচ্ছে এক প্রকার শসা। এই কাখাদি উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল এবং কুমায়ন অঞ্চলে পাহাড়ের গায়ে শুধুমাত্র বর্ষার সময়ই চাষ করা হয়। তাছাড়া এই পাহাড়ি মশলার স্বাদ ও সুগন্ধ এই রায়তাকে অন্যান্য সব রাজ্যের রায়তার তুলনায় আলাদা ও আরও সুস্বাদু করে তোলে।

আরও পড়ুন: শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নয়, এই রাজ্যের মিষ্টির স্বাদও অতুলনীয়!

আরও পড়ুন: মুম্বাইয়ের ‘বাডা পাও’ আর আমেরিকার বার্গারের মিল কোথায় জানেন?

আরও পড়ুন: জানেন কি কোন খাবারগুলি বেনারসের অলিতে গলিতে জনপ্রিয়?