Superfood for Breakfast: সময় নেই ব্রেকফাস্ট করার? ভেজানো আমন্ডেই করুন বাজিমাত

Benefits of Almonds: যখন দেখছেন আপনার কাছে ব্রেকফাস্টে রান্না করে খাবার খাওয়া সময় নেই কিংবা ব্রেকফাস্টে খেতে গিয়ে অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে, চারটে ভেজানো আমন্ড খেয়ে নিন।

Superfood for Breakfast: সময় নেই ব্রেকফাস্ট করার? ভেজানো আমন্ডেই করুন বাজিমাত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2022 | 2:31 PM

দিনের শুরুটা সব সময় এমন খাবার দিয়ে করা উচিত যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এবার হয়তো আপনি বলবেন, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এখন নিয়মিত ওটস, মুসলি, চিয়া সিড খান। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁরা কাজের চাপে ‘হেলদি’ ব্রেকফাস্ট করার সময় পান না। আবার কখনও ছাতুর শরবত খেয়েই বেরিয়ে যেতে হয় কাজে। এই পরিস্থিতিতে যদি চার থেকে ছ’টা ভেজানো আমন্ড খান, উপকার গুণে শেষ করতে পারবেন না।

আমন্ড বাদামের উপকারিতা নিয়ে আলাদা ভাবে বলার প্রয়োজন পড়ে না ঠিকই কিন্তু তা বলে আপনি একে ডায়েটে রাখবেন না, এই ভুল একদম নয়। সকালবেলা সকলেরই কাজের তাড়া থাকে। এই পরিস্থিতিতে রেঁধে খাবার খাওয়ার সময় নেই বললেই চলে। কিন্তু তা বলে, ব্রেকফাস্টই করবেন না, এটাই সবচেয়ে বড় ভুল করেন। বরং প্রাতঃরাশের খাবারই আমাদের শরীরে শক্তির জোগান দেয়। আর এখানেই এক বিশেষ বড় ভূমিকা পালন করে আমন্ড।

যখন দেখছেন আপনার কাছে ব্রেকফাস্টে রান্না করে খাবার খাওয়া সময় নেই কিংবা ব্রেকফাস্টে খেতে গিয়ে অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে, চার থেকে ছ’টা ভেজানো আমন্ড খেয়ে নিন। এতেই উপকার মিলবে। রোজ যদি অন্তত চারটে করে ভেজানো আমন্ড খান, এতে যে উপকার পাবেন তা কল্পনাতীত।

ওজন কমাতে অনেকেই সকালে ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যান, এটা মারাত্মক ভুল কাজ করেন। এই বদলে ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার খান ব্রেকফাস্টে। আর তার সঙ্গে রাখুন আমন্ড। যদি ওটস, মুসলি খান তাহলে ওপর দিয়ে কেটে ছড়িয়ে দিন ছ’টা আমন্ড। এতেই ওজন একদম নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ রিসার্চ ইন মেডিক্যাল সায়েন্সের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত সকালে চার থেকে ছ’টা করে আমন্ড খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে।

যদিও পেট ভরানো কিংবা ওজন কমানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই আমন্ডের উপকারিতা। কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক- ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি উদাহরণ দেখেছি। এই পরিস্থিতি আপনার সঙ্গে যাতে না ঘটে তার জন্যও আমন্ড খান। কারণ আমন্ডের মধ্যে ভিটামিন ই, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে যা হৃদরোগের পিছনে দায়ী।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করা এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্য প্রতিটা মানুষের আমন্ড খাওয়া দরকার। এতে স্নায়ু গঠিত যে কোনও রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। এর পাশাপাশি অ্যালজাইমারের মতো রোগকে এড়ানো যায়। আর যদি এতেও আপনি সচেতন না হয়ে থাকে তাহলে অন্তত ত্বকের কথা ভাবুন। কারণ আভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য আমাদের ত্বকে উজ্জ্বলতা এনে দেয়। আর এখানেই বিশেষ ভূমিকা পালন করে আমন্ড। আমন্ডের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই তেল ত্বকের ওপর ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সুতরাং, আপনার উদ্দেশ্য যাই-ই হোক না কেন, ব্রেকফাস্টে চার থেকে ছ’টা করে ভেজানো আমন্ড চাই-ই।