Weight Loss Tips: রাতে নিশ্চিতে ঘুমের জন্য কটায় ডিনার করা জরুরি? জানুন পুষ্টিবিদের পরামর্শ

Weight Loss: ঘুম চোখে খাবার খেলে খাবার যেমন ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া হয় না তেমনই দায়সারা ভাবে খাওয়া হয়। এতে শরীরও খারাপ হয় সঙ্গে ঘুমও শান্তির হয় না

Weight Loss Tips: রাতে নিশ্চিতে ঘুমের জন্য কটায় ডিনার করা জরুরি? জানুন পুষ্টিবিদের পরামর্শ
জানুুন কখন খাবেন ডিনার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2022 | 7:31 AM

Best Time For Dinner: সুস্থ থাকতে কিছু রুটিনমাফিক নিয়মের মধ্যে যেমন নিজেকে বেঁধে চলতে হবে তেমনই কিন্তু সময়ে খাবারও খেতে হবে। শরীরের যাবতীয় চালিকা শক্তি এই খাবার। আর তাই সুষম আহারের গুরত্ব কতখানি একথা সকলেই জানেন। শুধু ভাল, দামি এবং দেখতে সুন্দর খাবার খেলেই কাজ হবে না। কোন সময়ে খাবার খাচ্ছেন তাও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই সারাদিন না খেয়ে থেকে একবারে সবটা খেলে যেমন ওজন কমে না তেমনই রাত ১২-টায় ডিনার সারলে তাও শরীরের কোনও কাজে লাগে না। সব খাবারেরই একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে আর সেই সময় মেনেই আপনাকে খাওয়া সারতে হবে। খাবারল খেয়েই যে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়তে নেই, একথা একাধিক বার বলেছেন সব বিশেষর্ই। খাবারকে হজম হওয়ার মত খানিক সময় দিতে হবে।

পুষ্টিবিদ গরিমা গোয়েলের মতে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিনার সেরে ফেলতে পারলে খাবার হজম করার মত যথেষ্ট সময় থাকে আমাদের হাতে। আর তাড়াতাড়ি খাওয়া সেরে নিলে শরীরও বিশ্রামের সুযোগ পায়। সেই ডিনার সারতে দেরি হলে শরীর, মনও বিরক্ত হয়। তখন মনে হয় কোনও রকমে খেয়েই ঘুমোতে হবে। এদিকে ঘুমেরও কোনও দোষ থাকে না। কারণ শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত থাকে। আর এর ফলে কিন্তু ওজনও বাড়ে। আসে হজমের সমস্যাও। এই রাতে দেরি করে খেলে কর্মদক্ষতা কমে যায়। বিশ্রাম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হওয়ায় মন-মেজাজ বিগড়ে থাকে। কোনও কিছুতেই ভীষণ বিরক্তি বোধ হয়। নিআদিষ্ট সময় এবং রুটিন মেনে চলতে পারলে সব কাজই সময়ের মধ্যে শেষ হয়। মনের দিক থেকেও শান্তি বজায় থাকে। আর মন ভাল থাকলে শরীর ভাল থাকবেই।

ডিনার সারতে কোন সময় সেরা?

ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ২-৩ ঘন্টা আগে ডিনার সেরে ফেলা ভীষণ রকম জরুরি, এমনই পরামর্শ দেন সব পুষ্টিবিদরা। খুম ঘুম পাচ্ছে আর তার ঠিক আগের মুহূর্তেই ডিনার- এই অভ্যাস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে ঠিকমতো খাবার খাওয়ার সুযোগও থাকে না। সেই সঙ্গে হজমের সুযোগও তেমন থাকে না। আর ভরপেট খাবার খেয়ে ঘুমোলে ঘুমেরও সমস্যা হয়। তাই দিনের খাবারের তুলনায় রাতের খাবার হালকা রাখা উচিত। ভরপেট খাবার খেয়ে ঘুমোলে ঘুমও ভাল হয় না।

তাড়াতাড়ি খাওয়ার সুবিধে

হজম ভাল হয়। সেই সঙ্গে বিপাক ক্রিয়াও বাড়ে। আর বিপাক ক্রিয়া বাড়লে ওজন কমে তাড়াতাড়ি।

ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যার্টাক, উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমে। ঘুমের গুণমান উন্নত করে। কর্মদক্ষতাও বাড়ায়।

শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিলে শরীরও আপনাকে পরিবর্তে কিছু উপহার দেবে। মন ভাল রাখবে, বাড়বে কর্মদক্ষতাও। রোগ-জ্বালাও থাকবে দূরে। জীবনে তখন যাই চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন আপনি সেখান থেকে সসম্মানে উত্তীর্ণ হতে পারবেন।