Dal: মুসুর ডাল খেলেই পেটে মোচড় দেয়? ডাল বানানোর আগে পড়ুন করিনার পুষ্টিবিদের পরামর্শ
Cooking Tips: সাধারণত আপনি সকালে ডাল রান্নার আগে ডালটা জলে ভিজিয়ে রাখেন। এতে ডাল তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়। কিন্তু রুজুতা বলছেন অন্য কথা।
দুপুরে পাতে আর যাই-ই থাকুক না কেন ডাল, ভাত, তরকারি থাকতে বাধ্য। ডাল হচ্ছে এমন একটি খাবার যা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্বাদে রন্ধিত হয়। পাশাপাশি অনেক ধরনের ডাল পাওয়া যায়। মুগ, মুসুর, অড়হর, মটর একাধিক ধরনের ডাল পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, ডাল হল এমন একটি খাবার যা আপনার শরীরে পূরণ করতে পারে পুষ্টির চাহিদা। বিশেষত, যাঁরা নিরামিষ খাবার খান, তাঁদের জন্য আদর্শ প্রোটিনের উৎস হল এই ডাল। কিন্তু সঠিকভাবে এই ডাল রান্না না করলে আপনি এর কোনও গুণই পাবেন না। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন রুজুতা দিবাকর।
বিউলির ডাল হোক বা মুসুর ডাল কিংবা মটর ডাল, রান্না করার আগে আপনাকে ভিজিয়ে রাখতে হয়। আপনার ধারণা এমনটা না করলে ডাল সেদ্ধ হবে না। কিন্তু এই কারণ ছাড়াও ডাল ভিজিয়ে রেখে রান্না করার বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। সেই সুবিধায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন পুষ্টিবিদ রুজুতা।
সাধারণত আপনি সকালে ডাল রান্নার আগে ডালটা জলে ভেজান। কিন্তু রুজুতা বলছেন অন্য কথা। আগের রাত থেকে ডাল জলে ভিজিয়ে রাখতে বেশি উপকার মেলে। আসলে ডালে পলিফেনল ও ট্যানিন নামক দুটি রাসায়নিক উপাদান থাকে। ডাল জলে ভিজিয়ে রাখলে এই দুটো উপাদানের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। এরপর যখন ওই ডাল খাওয়া হয় তখন ডালের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ও অন্যান্য পুষ্টিগুলো সরাসরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
রাজমা, চানা বা তরকার ডাল ভিজিয়ে রাখার হলে এর জল ঘন ঘন পরিবর্তন করতে থাকুন। একই ভাবে মুসুর ডাল রান্না আগে জলে ভিজিয়ে রাখাও জরুরি। ভেজানো মুসুর ডালে মিনারেলের হার বেড়ে যায়। তাছাড়া এতে ফাইটেজ নামের এনজাইম রয়েছে যা ভিজিয়ে রাখলে ফাইটিক অ্যাসিডে ভেঙে সক্রিয় হয়ে যায়। তবে মুসুর ডাল সব সময় ঠান্ডা জল ভেজাবেন।
অনেকেই রয়েছেন যাঁরা মুসুর ডাল খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। এই ক্ষেত্রে ভেজানো মুসুর ডাল স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি উপকারী। ডালের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং নানা মিনারেল থাকে। কিন্তু এখান থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড গ্রহণ করা একটু কঠিন। এতে এমনও কিছু অ্যান্টি-পুষ্টি রয়েছে, যা ডালের আসল পুষ্টি গ্রহণে শরীরকে বাধা দেয়। যে কারণে মুসুর ডাল খেলে অনেকেই বদহজম, পেট ফুলে যাওয়া, অ্যাসিডিটির সম্মুখীন হন। এই কারণে মুসুর ডাল জলে ভিজিয়ে রান্না করলে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
একই ভাবে, রাজমার মতো ডালগুলো কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। কাঁচা রাজমা ডাল একদম খাবেন না। সামান্য পরিমাণ কাঁচা থাকলেও এটি শরীরে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ছোলার ডাল ১-২ ঘণ্টা ভেজালেই যথেষ্ট।