ওটস-মটর চিল্লা, জলখাবারে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু এই পদ

এমনিতে চিল্লা অনেকটা ধোসা জাতীয় জিনিস। আবার গোলারুটির সঙ্গেও এর মিল রয়েছে।

ওটস-মটর চিল্লা, জলখাবারে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু এই পদ
সস কিংবা আচার দিয়েই খেয়ে নেওয়া যায় এই খাবার।
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2021 | 11:07 AM

প্রতিদিনের অফিসের তাড়ায় কোনওমতে নাকেমুখে দুটো গুঁজে অফিস দৌড়তে হয় অনেককেই। আয়েশ করে বসে জলখাবার খাওয়া তখন বিলাসিতার সমান। তাই ছুটির দিনে জলখাবারে কিছু মুখরোচক না থাকলে মুখে রোচে না। বাড়ির বড় থেকে খুদে , সকলেরই আবদার সমান। ছুটির দিন বিশেষ করে রবিবার সকালে ব্রেকফাস্ট হোক একটু স্পেশ্যাল। এদিকে, স্বাস্থ্যের প্রতিও নজর দিতে হবে।

তাই ঝটপট বানিয়ে ফেলুন ওটস-মটরের চিল্লা। এমনিতে চিল্লা অনেকটা ধোসা জাতীয় জিনিস। আবার গোলারুটির সঙ্গেও এর মিল রয়েছে। তবে অতটা পুরু হয় না এই চিল্লা। আবার ধোসার মতো অত পাতলা নয়। তবে একটা মুচমুচে ভাব থাকে এই চিল্লায়। সস কিংবা আচার দিয়েই খেয়ে নেওয়া যায় এই খাবার।

কী কী লাগবে- 

ওটস (আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখলে ভাল), সেদ্ধ মটর, কাঁচা লঙ্কা কুচি, টোম্যাটো এবং পেঁয়াজ কুচি, কড়াইশুঁটি, ভাজা মশলার গুঁড়ো, রসুন কুচি, সামান্য হিং, নুন-চিনি স্বাদ মতো, চাটমশলা, জোয়ান।

কীভাবে তৈরি করবেন- 

প্রথমে মিক্সিতে সেদ্ধ মটরের সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা কুচি, টোম্যাটো এবং পেঁয়াজ কুচি, কড়াইশুঁটি, ভাজা মশলার গুঁড়ো, রসুন কুচি, সামান্য হিং, নুন-চিনি স্বাদ মতো, চাটমশলা, জোয়ান দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার ওটসের থেকে ভাল করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর ওই পেস্ট ওটসের মধ্যে ভাল ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

সব উপকরণ একে অন্যের সঙ্গে মিশে গেলে তাওয়া গরম করুন। অল্প ঘি দিয়ে গ্রিজ করে নিন। অর্থাৎ তাওয়ার সারা গায়ে ঘি মাখিয়ে দিন। এবার চামচে করে ওই মিশ্রণ তাওয়ার মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে দিন। যেহেতু ওটস আগের দিন রাতে জলে ভেজানো হবে তাই মিশ্রণ খুব একটা আঁটোসাঁটো হবে না। ছোট রুটির আকারে তাওয়ায় ওই মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। উপর থেকে আর একটু ঘি ছড়িয়ে দিন।

এক পিঠ ভাজা হয়ে গেলে, উল্টে-পাল্টে আর এক পিঠ ভেজে নিন। হাল্কা বাদামি রঙ আসলে নামিয়ে নিন। এবার সস কিংবা আচার বা কাসুন্দির সঙ্গে পরিবেশন করুন ওটস-মটরের চিল্লা। শুধু জলখাবার নয়, সন্ধের স্ন্যাকস হিসেবেও চা-কফির সঙ্গে দিব্যি খাওয়া যায় এই মুচমুচে চিল্লা।