Relationship Tips: ‘সিঙ্গল চাইল্ডের দোহাই দিয়ে সর্বক্ষণ বাপের বাড়িতেই থাকছেন স্ত্রী’, মুখে কিছু না বললেও মানতে পারছেন না স্বামী

Marriage Problem Solution: আজকাল কোনও মা-বাবাই সন্তানের ভরসায় থাকেন না। সকলেই চান তাঁর ছেলে বা মেয়ে সুখে নিজের সংসার করুক। তাই বলে মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে না এমনটা নয়

Relationship Tips: 'সিঙ্গল চাইল্ডের দোহাই দিয়ে সর্বক্ষণ বাপের বাড়িতেই থাকছেন স্ত্রী',  মুখে কিছু না বললেও মানতে পারছেন না স্বামী
অযথা ঝামেলা না করে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 2:09 PM

প্রশ্ন:  আমাদের একবছর হল বিয়ে হয়েছে। তার আগে আলাপ সাড়ে-তিনবছরের। প্রেমের দিনগুলোতে আমাদের তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। এমনকী বিয়ের পরও আমরা দিব্যি ছিলাম। ঘুরতে যাওয়া, খেতে যাওয়া, রাত জেগে সিনেমা দেখা- সব মিলিয়ে খুব ভাল কাটছিল। আমার স্ত্রী সিঙ্গল চাইল্ড। আর তাই আমরা উইকএন্ডে ওর বাড়িতেই কাটাতাম। হানিমুন থেকে ফিরে আসার পর আমার শাশুড়ির শরীরটা একটু খারাপ হয়। তখন আমরা দুজনেই ওই বাড়িতে ছিলাম। কিছুদিন পর আমি ফিরে আসি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হলেও আমার স্ত্রী প্রায়শই ওর বাড়িতেই থাকে। মুখে কিছু বলতে পারি না, কিন্তু আমার খুব খারাপ লাগে। স্ত্রীকে কিছু বললেই ওর অভিমান হয়, আমাদের মধ্যে ঝামেলাও বাড়ে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দাম্পত্য জীবন আর টিকবে না। কী করা উচিৎ কিছুই বুঝতে পারছি না, দয়া করে কিছু পরামর্শ দিন। ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)

উত্তর: আজকাল বেশিরভাগ পরিবারেই এই সমস্যা। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি হওয়ায় মা-বাবা-সন্তান ছাড়া বাড়িতে আর কোনও তৃতীয় ব্যক্তি নেই। মা-বাবার খেয়াল রাখা সন্তানের কর্তব্য। আপনার স্ত্রী তাঁর মা-বাবার একমাত্র সন্তান। এক্ষেত্রে তিনি ছাড়া মা-বাবার খেয়াল রাখার অন্য কেউ নেই। ফলে মেয়ে হিসেবে আপনার স্ত্রী যে ভূমিকা পালন করছেন তার মধ্যে কোনও গলদ নেই। এবার আসা যাক দ্বিতীয় প্রসঙ্গে। আপনাদের সদ্য বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে থেকে আলাপ-পরিচয় থাকলেও বিয়ের পর সব সম্পর্কই বদলে যায়। একে অপরকে চিনতে-জানতে খানিকটা সময় লাগে। যে কারণে একসঙ্গে সময় কাটানো খুবই জরুরি। বাড়িতে দিনের পর দিন স্ত্রী না থাকলে আপনি যে তাঁকে মিস করবেন এটাও স্বাভাবিক।

বিষয়টি  আপনার মনের মধ্যে চেপে না রেখে স্ত্রীয়ের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। কোথায় অসুবিধে হচ্ছে সে কথাও বলুন। জীবনে ব্যালেন্স করে চলা খুবই জরুরি। যেরকম মা-বাবার দেখভাল করা তাঁর দায়িত্ব তেমনই স্ত্রী হিসেবে স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাও তাঁর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আজকাল কোনও মা-বাবাই সন্তানের ভরসায় থাকেন না। সকলেই চান তাঁর ছেলে বা মেয়ে সুখে নিজের সংসার করুক। তাই জোর গলায় কথা বললে বা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করলেই কোনও সমাধান হবে না। নিজেদের মধ্যে কথা বলুন। দরকারে স্ত্রীকে বলুন কিছুদিন তাঁর মা-কে নিজের কাছে নিয়ে এসে রাখতে। অথাবা কোনও গৃহসহায়িকার সাহায্য নিন। সপ্তাহে দুৃ-দিন আপনার স্ত্রী ওখানে থাকল বাকি দিন আবার আপনারা একসঙ্গে থাকলেন। কখনও দু-জন একসঙ্গেও থাকতে পারেন স্ত্রী এর বাড়িতে। মানিয়ে চলতে দু’জনকেই হয়। সম্পর্ক ঠিক রাখতে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই কিছু না কিছু Sacrifice করতে হয়। অযথা জটিলতা বাড়িয়ে লাভ নেই। সুখে থাকাটা যখন একমাত্র উদ্দেশ্য তখন রোজকার ঝামেলা যত দ্রুত সম্ভব মিটিয়ে নিন। মনের শান্তি খুবই জরুরি।