Namibia to India: কী ভয়ানক! সুদূর নামিবিয়া থেকে খালি পেটে আনা হচ্ছে হিংস্র চিতার দল

৭ দশক পরে চিতার (Cheetahs) দল আসছে ভারতে (India)। বিশেষ বিমানে করে নামিবিয়া (Namibia) থেকে ভারতে উড়িয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে চিতাদের। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বনদপ্তরের এক আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৮টি চিতাকে নামিবিয়া থেকে আনা হচ্ছে ভারতে। চিতাগুলির স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তাদের ক্ষুধার্ত রাখা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বনদপ্তরের একজন বরিষ্ঠ আধিকারিকের বক্তব্য অনুসারে, নামিবিয়া থেকে যে […]

Namibia to India: কী ভয়ানক! সুদূর নামিবিয়া থেকে খালি পেটে আনা হচ্ছে হিংস্র চিতার দল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2022 | 6:30 AM

৭ দশক পরে চিতার (Cheetahs) দল আসছে ভারতে (India)। বিশেষ বিমানে করে নামিবিয়া (Namibia) থেকে ভারতে উড়িয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে চিতাদের। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বনদপ্তরের এক আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৮টি চিতাকে নামিবিয়া থেকে আনা হচ্ছে ভারতে। চিতাগুলির স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তাদের ক্ষুধার্ত রাখা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বনদপ্তরের একজন বরিষ্ঠ আধিকারিকের বক্তব্য অনুসারে, নামিবিয়া থেকে যে সব চিতাদের ভারতে উড়িয়ে আনা হচ্ছে তাদের কিছুই খেতে দেওয়া হচ্ছে না। ভারতে চিতার পুনরায় প্রবেশ ঘটানো ও সংখ্যা বাড়ানোই এই উড়ানের মূল উদ্দেশ্য। চিতাদের বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে আসার সময় তাদের বমি করার আশঙ্কা থাকে। খাবার খেলে বমির আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। তাতে চিতাগুলির স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এমন সিদ্ধান্ত।

এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন মোট ৮টি চিতাকে নামিবিয়া থেকে প্রথমে রাজস্থানের জয়পুরে আনা হবে। এরপর আরও ১ ঘণ্টার আকাশপথে যাত্রার মাধ্যমে তাদের পৌঁছে দেওয়া হবে ভোপালের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে। তিনি জানিয়েছে প্রাণীদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্যই সতর্কতা হিসেবে খাবার না খাইয়েই যাত্রা শুরু করা হয়।

১৭ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের রাজধানীতে কার্গো জেটের মাধ্যমে চিতাগুলিকে আনা হবে সকাল ৬ টা থেকে ৭টার মধ্যে। এরপর তাদের চাপানো হবে চপারে ও নিয়ে যাওয়া হবে ভোপালের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে। বনদপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য অনুসারে, পরিবেশ মন্ত্রকের অফিসাররা নামিবিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন ও আন্তঃমহাদেশীয় চিতা স্থানান্তর প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। চিতা বিলুপ্ত হওয়ার ৭০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭ সেপেম্বর তিনটি চিতাকে কোয়ারেন্টাইনে মুক্ত করবেন। ওইদিনই আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। মধ্যপ্রদেশের বন আধিকারিকদের মতে, প্রথম একমাস চিতাগুলিকে ছোট এনক্লোজারে রাখা হবে। একমাস পরে তাদের সরানো হবে বড় ঘেরাটোপে। কয়েকমাস তারা সেভাবেই থাকবে যাতে জায়গাটি সম্পর্কে তারা পরিচিত হতে পারে ও মানিয়ে নিতে পারে। এরপর তাদের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে প্রাণী স্থানান্তরের বিষয়টিতে নানা আইনি জটিলতা আছে। সেই আইন ও নিয়ম মোতাবেকই ছয়টি ছোট ছোট এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। প্রাণীগুলিকে স্থানান্তরের আগে ও পরে একমাস করে ছোট এনক্লোজারে কোয়ারেন্টাইনে নির্দিষ্ট রুটিন মেনে রাখা নিয়ম। ২০০৯ সালে ভারতে আফ্রিকান চিতা ইন্ট্রোডাকশন প্রোজেক্ট শুরু হয়। মহামারীর কারণে গতবছরে মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে চিতা আনার বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, অভয়ারণ্য হিসেবে কুনো জাতীয় উদ্যান স্থাপিত হয় ১৯৮১ সালে। শেওপুর ও মোরেনা জেলার ৩৪৪.৬৮৬ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই অরণ্য। ২০১৮ সালে অরণ্যটি জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা পায়। ১৯৯০ সালে এলাকাটি এশিয়াটিক সিংহ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে নির্বাচন করা হয় কুনো পালপুরের অরণ্যকে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল ভারতে সিংহের সংখ্যা বৃদ্ধি। এরপর ২০০৯ সালে চিতা পুনঃপ্রবর্তনের জায়গা হিসেবেও অভয়ারণ্যটিকে নির্বাচন করা হয়। এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রয়েছে জংলি বিড়াল, ভালুক, হায়না, শিয়াল। এছাড়া আছে বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, বন্য শুয়োর, নীলগাই। আছে অংখ্য প্রজাতির পাখি। সরীসৃপের মধ্যে সাপ ছাড়াও রয়েছে কুমির, ঘড়িয়াল ইত্যাদি।