Sandankphu: এবার সরকারি আবাসে রাত কাটান টংলুতে, দেখা মিলবে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’র

Tonglu: সান্দাকফু ট্রেক করতে গেলে এক রাত কাটিয়ে যেতে হয় টংলুতে। এবার এখানে পর্যটক ও ট্রেকারদের জন্য থাকার বন্দোবস্ত করতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দফতর।

Sandankphu: এবার সরকারি আবাসে রাত কাটান টংলুতে, দেখা মিলবে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2022 | 2:10 PM

ঝকঝকে আকাশ। চোখের সামনে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’। এমন দৃশ্যের দেখা মেলা ভাগ্যের বিষয়। কিন্তু কঠিন নয়। বরং কাঞ্চনজঙ্ঘার এমন দৃশ্য দেখতে আর রহস্যে মোড়া পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেক করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে বহু মানুষ পাড়ি দেন সান্দাকফুতে। বর্তমানে বহু বাঙালি পর্যটক জীবনের প্রথম ট্রেক হিসেবে সান্দাকফুকে বেছে নেন। সান্দাকফু ট্রেক শুরু হয় মানেভঞ্জন থেকে। পথে পড়ে টংলু, ধোত্রের মতো কিছু পাহাড়ি গ্রাম। ধোত্রের মতো গ্রামে বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। এবার টংলুতে গেলেও আপনি রাজ্য সরকারের তৈরি পর্যটন আবাসে থাকতে পারবেন।

রাজ্যের সবচেয়ে উঁচু গ্রাম টংলু। সান্দাকফু ট্রেক করতে গেলে এক রাত কাটিয়ে যেতে হয় টংলুতে। এবার এখানে পর্যটক ও ট্রেকারদের জন্য থাকার বন্দোবস্ত করতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। বেশ কিছু বছর ধরে সান্দাকফু এলাকায় রাজ্যের পর্যটন আবাস তৈরির দাবি উঠছিল। ধোত্রেতে বেশ কিছু থাকার জায়গা থাকলেও টংলুতে হাতে গোনা হোমস্টে। এবার রাজ্য পর্যটন দফতর টংলুতে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করবে।

এই আবাসের জন্য রাজ্য পর্যটন দফতর, বন দফতরের ‘গ্রিন প্রজেস্ট উইং’ এবং জেলা প্রশাসন একসঙ্গে মিলে কাজ করছে। টংলুতে যে আবাসটা তৈরি হচ্ছে তাতে ১০টি করে শয্যার দু’টি ডর্মিটরি রুম তৈরি করা রয়েছে। তার মধ্যে একটি তৈরি করা হচ্ছে বিশেষত মহিলাদের জন্য। এর বাইরে তিনটি কাঠের কটেজ তৈরি করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে, আগামী বসন্তে উদ্বোধন হতে পাবে এই নতুন পর্যটন আবাস। এছাড়াও বাগান, সোলার সিস্টেম, ওয়াটার হার্ভেস্টিং এবং আরও কয়েকটি কটেজ তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। টংলুতে এই আবাস তৈরি করতে ২.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সান্দাকফু অঞ্চলে টংলু খুবই জনপ্রিয় ছোট্ট একটি গ্রাম। এখানে হাতে গোনা কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। এই সব’কটি বাড়িতেই পর্যটকদের আপায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এই গ্রামে মানুষ বলতে মূলত পর্যটক আর হোটেলের মালিক-কর্মচারী। যেহেতু পাহাড়ের বেশ উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রাম, তাই খুব একটা স্থানীয়র দেখা মেলে না। সারা বছরই ঠান্ডা থাকে এখানে। পাহাড়ি সৌন্দর্যের সঙ্গে মেঘেদের আনাগোনা দেখে দিন কেটে যায় টংলু।

আগে শুধু সান্দাকফু ট্রেক করতে উঠলে ট্রেকাররা একরাত টংলুতে কাটিয়ে যেতেন। তবে এখন ট্রেকাররা ছাড়া সাধারণ পর্টকরাও ভিড় করেন টংলুতে। অনেকে আবার ধোত্রে থেকে ট্রেক করে টংলু আসেন। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের ভিতর অবস্থিত টংলু এখনও পর্যন্ত পর্যটকদের কাছে অফবিট। সাধারণত সান্দাকফু ট্রেক করার জন্য মানেভঞ্জন পর্যন্ত গাড়ি করে পৌঁছাতে হয়। তারপর শুরু হয় পায়ে হাঁটা রাস্তা। কিন্তু আপনি যদি শুধু টংলু বেড়াতে যান তাহলে এখন এখানেও গাড়ি পৌঁছে যায়। মানেভঞ্জন ও সান্দাকফুর মাঝে অবস্থিত টংলু আপনার শীতের বাকেটলিস্টে জায়গা করে নিতে পারে।