Darjeeling Toy Train: ঘুম উৎসবের নতুন আকর্ষণ! রাতের অন্ধকার ভেদ করে শৈলশহরে ছুটবে টয় ট্রেন
Ghoom Festival: টয় ট্রেনের টানেই দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকেরা ভিড় করেন দার্জিলিংয়ে। এবার সেই শৈলশহরের রাতের দৃশ্য অন্বেষণ করা যাবে টয় ট্রেনে চেপে।
হিমালয়ের কোল বেয়ে কুয়াশার মধ্যে ছুটবে টয় ট্রেন। রাতের অন্ধকারেরও হিমেল হাওয়া ছুঁয়ে যাবে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন। এবার রাতেও চলবে টয় ট্রেন। পর্যটকদের মন কাড়তে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। শীতে শৈলশহরে পর্যটকদের ভিড় বেশি। আর দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা নিয়ে তো কোনও কথাই নেই! এর মাঝে রাতেও এবার টয় ট্রেন চলবে। এতেই খুশির জোয়ার পর্যটক মহলে।
দিনের আলোয় টয় ট্রেনে চেপে দার্জিলিংয়ের ভ্রমণের মজা নেন বহু পর্যটক। এই টয় ট্রেনের টানেই দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকেরা ভিড় করেন শৈলশহরে। এবার সেই শৈলশহরের রাতের দৃশ্য অন্বেষণ করা যাবে টয় ট্রেনে চেপে। এখনও অবধি দার্জিলিংয়ের জয় রাইডের অর্থ ছিল সকাল দশটা থেকে প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ঘুম থেকে ঘুরে আসা। কিন্তু এবার রাতের অন্ধকারে পাহাড়ের আলোগুলো জোনাকির মতো জ্বলে উঠবে। আর দূরে থাকা পাহাড়ি গ্রামের আলো আর নীরবতা আর মোহময়ী করে তুলবে আপনার টয় ট্রেনের জার্নি। সব মিলিয়ে দার্জিলিংয়ের রাতের নৈস্বর্গিক দৃশ্য দেখা যাবে টয় ট্রেন থেকে।
আগামী ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই পরিষেবা। ট্রেনের আলো জ্বালিয়ে কুয়াশা ভেদ করে ছুটে যাবে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন। নিস্তব্ধ পাহাড়ের কোলে শোনা যাবে টয় ট্রেনের কু ঝিঁক ঝিঁক আওয়াজ। দার্জিলিং স্টেশন থেকে ছাড়া হবে টয় ট্রেন। যাবে ১০ কিলোমিটার দূর ঘুম রেলস্টেশন পর্যন্ত।
১২ নভেম্বর থেকে ঘুম উৎসবও শুরু হচ্ছে শৈলশহরে। দ্বিতীয় বছর হলেও দার্জিলিংয়ের ঘুম উৎসব পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। গত বছর কোভিড পরিস্থিতির পর শৈলশহরের পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে ঘুম উৎসব শুরু করা হয়। এ বছর দ্বিতীয় বর্ষ। আগামী ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই উৎসব। চলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
নাচ, গান, খাদ্য সব নিয়ে জমজমাট ঘুম উৎসব। এই বছরের উপরি পাওনা রাতে টয় ট্রেনে জয় রাইড। এই ঘুম উৎসবেরই অঙ্গ রাতের টয় ট্রেন পরিষেবা। পাশাপাশি জয় রাইডের সঙ্গে এসি কোচ, ভিস্তাডোম কোচ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁর সুবিধা ইতিমধ্যেই যোগ হয়েছে। ট্রেনের রুট যদিও একই রয়েছে। দার্জিলিং থেকে ঘুম এবং ঘুম থেকে দার্জিলিং ঘোরা যাবে ‘নাইট জার্নি ইন টয় ট্রেনে’। কনকনে ঠান্ডার মধ্য দিয়ে আলো-আন্ধারি শুরু হবে টয় ট্রেন যাত্রা।
অ্যাসোসিয়েশন অফ কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের সভাপতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত বছর ঘুম উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছিল শৈলশহরে। তাই এই বছর নতুন পরিষেবা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। ঘুম উৎসবের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্যই রাতেও টয় ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিমালয়ান রেলওয়ে।