Sikkim: টানা বর্ষণের জেরে বাতিল নাথু লা ও ছাঙ্গুর পারমিট, ভাঁটা পড়ল পর্যটন শিল্পে

Sikkim weather updates: উত্তর সিকিমে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে উত্তর সিকিমের পারমিট বাতিল করছে সিকিম সরকার।

Sikkim: টানা বর্ষণের জেরে বাতিল নাথু লা ও ছাঙ্গুর পারমিট, ভাঁটা পড়ল পর্যটন শিল্পে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2022 | 2:17 PM

পুজোর ছুটিতে বহু বাঙালি পর্যটক ভিড় করেছেন সিকিমে (Sikkim)। কিন্তু গত শনিবার রাত থেকে ভারী বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত সিকিমের জনজীবন। ধসের কারণে সিকিমের (Landslides in Sikkim) বিভিন্ন জায়গায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন হোটেল, হোম-স্টেতে। সিকিমের বিভিন্ন অংশে নতুন করে পর্যটকদের (Tourism) যেতে নিষেধ করা হয়েছে। চলতি বছরের অগস্টেও এমনই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল সিকিম। সেই সময়ও উত্তর সিকিমে (North Sikkim) বেড়াতে গিয়ে ৭০ জন পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। এক মাসের ব্যবধানে একই দুঃসময়ের মুখোমুখি সিকিম। পর্যটক থেকে স্থানীয় সকলেই সমস্যার মুখে পড়েছেন। বুধবার পর্যন্ত এমনই পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

উত্তর সিকিমে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাহাড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে উত্তর সিকিমের পারমিট বাতিল করেছে সিকিম সরকার। এখন সিকিম গেলে নাথু লা ও ছাঙ্গু যাওয়ার অনুমতি আর মিলবে না। অবিরাম ভারী বর্ষণের জেরে উত্তর সিকিমের ইয়াংথাংয়ে ধস নেমে ১০ নং জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, রবিরাত রাতে নিমতার, ১৪ মাইল, ১৯ মাইল, ২০ মাইল, কিউবা রক ফল জোন, টিনটেক-ডিকুচ রোডে রস নেমেছে। ধস নামার কারণে সিকিমের বিভিন্ন সড়ক পথে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

শনিবার গভীর রাত থেকে পাহাড়ে বৃষ্টি নামে। রবিবার সিকিমের বিভিন্ন পাহাড়ি রাস্তায় অবিরাম বোল্ডার গড়িয়ে পড়তে থাকে। ফলে রবিবার ও সোমবার যাঁরা উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিমের দিকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁদের বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ধস নামার কারণে উত্তর সিকিমের রাস্তায় যানচলাচল আপাতত সীমিত। ফলে পূর্ব সিকিমের রাস্তা দিয়ে পাহাড়ে যেতে হচ্ছে। এতে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। পাহাড়ি রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে। অন্য রাস্তা দিয়ে পাহাড়ে ওঠার কারণে বেশ বাড়তি টাকাও গুনতে হচ্ছে পর্যটকদের। দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়ি রাস্তায় রাতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে সিকিম সরকার।

সোমবার উত্তর সিকিমে ফের অতিভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তৈরি হয়েছে বিপর্যয়ের আশঙ্কাও। নাথু লা ও ছাঙ্গু যাওয়ার অনুমতি আপাতত মিলছে না। এমনকী উত্তর সিকিম থেকে পর্যটকরা গ্যাংটক নামতে পারলেও শিলিগুড়ি পৌঁছাতে পারেনি। এই অতিভারী বর্ষণ উদ্বেগ তৈরি করছে সিকিমের পর্যটন শিল্পেও। অক্টোবর মাস থেকে পর্যটক থেকে আনাগোনা শুরু হয় পাহাড়ে। মরশুমের প্রথমেই এমন বিপর্যয়ের কারণে বড় মাশুল না গুনতে হয় পর্যটন শিল্পে যুক্ত ব্যবসায়ীদের। করোনা পরিস্থিতির জেরে দু’বছর ধরে তেমন লাভের মুখ দেখেননি ব্যবসায়ীরা। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও তাঁদের ক্ষতির মুখে না ঢেলে দেয়, আশঙ্কায় রয়েছে বহু পর্যটন ব্যবসায়ী।

একই অবস্থা উত্তরবঙ্গেও। সিকিমে পবিরাম বর্ষণের জেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা। তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কালিঝোড়া থেকে প্রায় ২,৫০০ কিউসেক জল ছাড়ায় তিস্তার জলস্তর বেড়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারেও ক্রমাগত ভারী বর্ষণ চলছে।