Most Dangerous Airport: রানওয়ে ছোট, চারধারে খাদ, এই বিমানবন্দর থেকেই শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে রোমহর্ষক ট্রেক

Lukla Airport, Nepal: বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এয়ারপোর্ট এই দেশে অবস্থিত। আর এই বিপজ্জনক এয়ারপোর্ট থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ট্রেক শুরু হয়।

Most Dangerous Airport: রানওয়ে ছোট, চারধারে খাদ, এই বিমানবন্দর থেকেই শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে রোমহর্ষক ট্রেক
তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দর, লুকলা, নেপাল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2023 | 1:11 PM

বছরের শুরুতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে নেপাল। গত ১৫ জানুয়ারি নেপালের পোখরায় বিমান দুর্ঘটনা স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। ওই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ৬৮ যাত্রী এবং ৪ ক্রু সদস্য। তবে, এমন ঘটনা নেপালে প্রথমবার ঘটেনি। এর আগেও বহুবার এই দেশ এমন দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। গত তিন দশকে ২৭টি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে নেপাল। মূলত এই দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এমন দুর্ঘটনা বার বার ঘটে। তাছাড়া গুগল বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমানবন্দর রয়েছে এই দেশেই। পোখরা নয়, লুকলা বিমানবন্দর। অর্থাৎ তেনজিং-হিলারি এয়ারপোর্ট।

বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপজ্জনক বিমানবন্দর হল এই লুকলা বিমানবন্দর। বর্তমানে এটি তেনজিং-হিলারি এয়ারপোর্ট নামে পরিচিত। সলুখুম্বু জেলার লুকলায় অবস্থিত এই বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর শুধু ঝুঁকিপূর্ণ বলে জনপ্রিয় নয়। এই বিমানবন্দর থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ট্রেক শুরু হয়। মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্প যেতে গেলে আপনাকে এখানেই আসতে হবে। এখানে প্রতিদিন কাঠমাণ্ডু থেকে লুকলার ফ্লাইট যাতায়াত করে। কিন্তু যখন সূর্যের আলো থাকে এবং আবহাওয়া ভাল থাকে। কারণ এই বিমানবন্দরে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

১৯৫৩ সালে নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী স্যার এডমন্ড হিলারি এবং তাঁর শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথম এভারেস্টের শিখর ছুঁয়েছিলেন। তার ঠিক ১১ বছর পর, ১৯৬৪ সালে এই লুকলা বিমানবন্দর তৈরি করা হয়। ২০০৮ সালে এই বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় তেনজিং-হিলারি এয়ারপোর্ট।

৯,৩৩৪ ফুট উচ্চতায় হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই বিমানবন্দর। এর রানওয়ে দৈর্ঘ্যে ১,৭২৯ ফুট এবং প্রস্থে ৯৮ ফুট।। চারপাশে প্রায় ২ হাজার ফুট গভীর খাদ। রানওয়ের কারণেই এই বিমানবন্দর আরও বেশি বিপজ্জনক। তাছাড়া উচ্চতার কারণে এখানে উন্নতমানের ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম নেই। তবে, এখানে প্রতিদিন বিমান ওঠা-নামা করে। কাঠমাণ্ডু থেকে ৪০ মিনিটে বিমানপথে লুকলা আসা যায়। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব হয়, যখন বিমান ওড়ার জন্য আবহাওয়া ঠিক থাকে। আর সূর্য ডুবে গেলে এখানে বিমান চলাচল করে না। তাছাড়া দক্ষ পাইলট ছাড়া এখানে বিমান চালানোর অনুমতি কাউকে দেওয়া হয় না।

যদিও নেপালের বিপজ্জনক বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় পোখরাও রয়েছে। ১৯৫৮ সালে তৈরি করা হয় এটি। এই বিমানবন্দরটিও পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এবং রানওয়েও সংকীর্ণ।