বিশ্লেষণ: ভ্যাকসিন নিলেও করোনা হতে পারে! কী বলছে ভারত বায়োটেক?

কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডঃ কৃষ্ণ এল্লা এই বিষয়ে খোলসা করেছেন। তাঁর মতে ভ্যাকসিন নিম্ন ফুসফুসকে রক্ষা করে। ফুসফুসের ঊর্ধ্বাংশকে নয়।

বিশ্লেষণ: ভ্যাকসিন নিলেও করোনা হতে পারে! কী বলছে ভারত বায়োটেক?
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 21, 2021 | 12:57 PM

নয়া দিল্লি: করোনা (COVID) রুখতে ভরসা ভ্যাকসিন (Vaccine)। কিন্তু মারণ ভাইরাস সেই অস্ত্রকেও হার মানাচ্ছে। করোনা প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নিয়েও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাহলে কি ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে না? এই প্রশ্ন উঠছে সব মহলে। পাশাপাশি অনেকে নিরূপায় হয়ে বলছেন, কী লাভ ভ্যাকসিন নিয়ে যদি প্রতিরোধই গড়ে না ওঠে! তবে এই ভ্রান্ত ধারণায় না ভেসে চিকিৎসকদের মতে, করোনা রুখতে পারে একমাত্র ভ্যাকসিনই। তাই কেন্দ্রীয় সরকার বারবার ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুরোধ করছে। আগামী পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ ভ্যাকসিন নিতে পারেন, সেই ঘোষণাও করেছে কেন্দ্র।

কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডঃ কৃষ্ণ এল্লা এই বিষয়ে খোলসা করেছেন। তাঁর মতে ভ্যাকসিন নিম্ন ফুসফুসকে রক্ষা করে। ফুসফুসের ঊর্ধ্বাংশকে নয়। তাই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ় নিলেও করোনার ভয় সম্পূর্ণ কেটে যায় না। এল্লা বলেন, “ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। যার ফলে কেউ যদি করোনা আক্রান্ত হন, তাঁর ক্ষেত্রে ভয়াবহতা কমে যায়।” অর্থাৎ ভাইরাস সর্বশক্তি দিয়ে তাঁর শরীরে আঘাত হানতে পারে না। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা টিকা নেওয়ার পরেও থেকে যায়। তাই কৃষ্ণ এল্লা-সহ একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সম্পূর্ণ করোনাবিধি মেনে চলুন। মাস্ক পরুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাসছে গোটা দেশ। দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। অক্সিজেন ও শয্যা সঙ্কটে জেরবার একাধিক রাজ্য। এমতাবস্থায় ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যাতে দ্রুত সকলের শরীরে করোনা বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়, তার জন্য ভ্যাকসিন থেকে কার্যত বয়সবিধি তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে টিকাকরণ হলেও সম্ভব হচ্ছে না করোনা রোখা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, একদিনেই দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ জনের। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২০২৩ জনের। এই নিয়ে দেশে গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ১৩০। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৩-এ। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৮।

আরও পড়ুন: ‘ভুল করছে ভাইরাস আর ভুগছে মানুষ’, পজিটিভ রোগীর রিপোর্ট আসছে নেগেটিভ