Char Dham Yatra 2022: পাপ ধুয়ে স্বর্গে প্রবেশের পথ প্রশস্ত করে চার ধাম যাত্রা! তীর্থযাত্রার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

Four Himalayan shrines: হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে উত্তরাখণ্ডের চার ধাম অত্যন্ত পবিত্র তীর্থক্ষেত্র হিসেবে মান্য। চার ধামে তীর্থযাত্রা করলে পুণ্য লাভ হয় বলেও মনে করেন কেউ কেউ।

| Edited By: | Updated on: May 29, 2022 | 12:48 AM
প্রতিবছর, তীর্থযাত্রীদের জন্য দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলে স্থিত চার ধামের পথ খুলে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ে। হিমালয়ের কোলে এই চার ধাম হল— যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ।

প্রতিবছর, তীর্থযাত্রীদের জন্য দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলে স্থিত চার ধামের পথ খুলে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ে। হিমালয়ের কোলে এই চার ধাম হল— যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ।

1 / 10
চলতি বছরে, অত্যন্ত উদ্দীপনার সঙ্গে চার ধাম যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রত্যেক হিন্দুধর্মাবলম্বীর জীবনে অন্তত একবার  চারধাম যাত্রা করা উচিত বলে মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা।

চলতি বছরে, অত্যন্ত উদ্দীপনার সঙ্গে চার ধাম যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রত্যেক হিন্দুধর্মাবলম্বীর জীবনে অন্তত একবার চারধাম যাত্রা করা উচিত বলে মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা।

2 / 10
মানুষের বিশ্বাস সকল পাপ ধুয়ে স্বর্গে প্রবেশের পথ প্রশস্ত করে চার ধাম যাত্রা। এই প্রসঙ্গেই চার ধাম যাত্রার সম্পূর্ণ গাইডলাইন জানিয়ে রাখা যাক—

মানুষের বিশ্বাস সকল পাপ ধুয়ে স্বর্গে প্রবেশের পথ প্রশস্ত করে চার ধাম যাত্রা। এই প্রসঙ্গেই চার ধাম যাত্রার সম্পূর্ণ গাইডলাইন জানিয়ে রাখা যাক—

3 / 10
চার মন্দির: চার ধাম যাত্রা শুরু হয় হরিদ্বার থেকে। এই তীর্থযাত্রার প্রথমবারের জন্য দাঁড়ায় যমুনোত্রী তীর্থে। দ্বিতীয়বার এই যাত্রা থামে গঙ্গোত্রীতে। এরপর কেদারনাথে ও যাত্রা সমাপ্ত হয় বদ্রীনাথে। মনে রাখবেন, চার ধাম যাত্রায় এই ক্রম বজায় রাখা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

চার মন্দির: চার ধাম যাত্রা শুরু হয় হরিদ্বার থেকে। এই তীর্থযাত্রার প্রথমবারের জন্য দাঁড়ায় যমুনোত্রী তীর্থে। দ্বিতীয়বার এই যাত্রা থামে গঙ্গোত্রীতে। এরপর কেদারনাথে ও যাত্রা সমাপ্ত হয় বদ্রীনাথে। মনে রাখবেন, চার ধাম যাত্রায় এই ক্রম বজায় রাখা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

4 / 10
যমুনোত্রী: যমুনা নদীর উৎসতেই রয়েছে যমুনোত্রী। পুরাণ অনুসারে, যমরাজের বোন হলেন যমুনা। ভাইফোঁটার সময় যমরাজ তাঁর বোনকে প্রতিশ্রুতি দেন, যে ব্যক্তি যমুনা নদীতে ডুব দিয়ে স্নান করবে, তাকে কোনওদিন যমলোকে যেতে হবে না। তাঁর পরিত্রাণ হবে। এই কারণেই দেবী যমুনা এই স্থানে পূজিত হন।

যমুনোত্রী: যমুনা নদীর উৎসতেই রয়েছে যমুনোত্রী। পুরাণ অনুসারে, যমরাজের বোন হলেন যমুনা। ভাইফোঁটার সময় যমরাজ তাঁর বোনকে প্রতিশ্রুতি দেন, যে ব্যক্তি যমুনা নদীতে ডুব দিয়ে স্নান করবে, তাকে কোনওদিন যমলোকে যেতে হবে না। তাঁর পরিত্রাণ হবে। এই কারণেই দেবী যমুনা এই স্থানে পূজিত হন।

5 / 10
গঙ্গোত্রী ধাম: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত গঙ্গোত্রী ধাম চার ধামের মধ্যে দ্বিতীয় ধাম। গোমুখে রয়েছে গঙ্গোত্রী মন্দির যা পবিত্র নদী গঙ্গার উৎস। যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গোত্রী উৎসে একবার স্নান করতে পারলে জীবনের সব পাপ ধুয়ে যায়। রাজা ভগীরথ এই পবিত্র জায়গাতেই দীর্ঘ সময় ধরে ধ্যানমগ্ন ছিলেন। তাঁর তপস্যায় তুষ্ট হয়েই দেবী গঙ্গা স্বর্গ থেকে নেমে এসে পতিত পাবনী রূপে মর্তে বয়ে যান। রাজা ভগীরথ যে পাথরের উপর বসে তপস্যা করছিলেন, সেই পাথরের উপরই স্থাপিত হয়েছে মন্দির।

গঙ্গোত্রী ধাম: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত গঙ্গোত্রী ধাম চার ধামের মধ্যে দ্বিতীয় ধাম। গোমুখে রয়েছে গঙ্গোত্রী মন্দির যা পবিত্র নদী গঙ্গার উৎস। যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গোত্রী উৎসে একবার স্নান করতে পারলে জীবনের সব পাপ ধুয়ে যায়। রাজা ভগীরথ এই পবিত্র জায়গাতেই দীর্ঘ সময় ধরে ধ্যানমগ্ন ছিলেন। তাঁর তপস্যায় তুষ্ট হয়েই দেবী গঙ্গা স্বর্গ থেকে নেমে এসে পতিত পাবনী রূপে মর্তে বয়ে যান। রাজা ভগীরথ যে পাথরের উপর বসে তপস্যা করছিলেন, সেই পাথরের উপরই স্থাপিত হয়েছে মন্দির।

6 / 10
কেদারনাথ ধাম : ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি হল কেদারনাথ। কেদারনাথ, কল্পেশ্বর, তুঙ্গনাথ, মদমহেশ্বর এবং রুদ্রনাথ মন্দির একযোগে তৈরি করেছে ভারতের পঞ্চকেদার তীর্থস্থান!

কেদারনাথ ধাম : ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি হল কেদারনাথ। কেদারনাথ, কল্পেশ্বর, তুঙ্গনাথ, মদমহেশ্বর এবং রুদ্রনাথ মন্দির একযোগে তৈরি করেছে ভারতের পঞ্চকেদার তীর্থস্থান!

7 / 10
বদ্রীনাথ ধাম :চার ধাম যাত্রার শেষ ধাম বদ্রীনাথ। চারটি জায়গার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ধাম হল বদ্রীনাথ। অলকানন্দা নদীর তীরে স্থিত এই মন্দির ভগবান শ্রীবিষ্ণুর উদ্দেশ্যে সমর্পিত। সেইসঙ্গে প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে আদি শঙ্করাচার্য এই স্থানেই মুক্তিলাভ করেছিলেন!

বদ্রীনাথ ধাম :চার ধাম যাত্রার শেষ ধাম বদ্রীনাথ। চারটি জায়গার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ধাম হল বদ্রীনাথ। অলকানন্দা নদীর তীরে স্থিত এই মন্দির ভগবান শ্রীবিষ্ণুর উদ্দেশ্যে সমর্পিত। সেইসঙ্গে প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে আদি শঙ্করাচার্য এই স্থানেই মুক্তিলাভ করেছিলেন!

8 / 10
সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ: পুণ্যলাভের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার আগে মন্দির দর্শনের সঠিক সময় জেনে রাখুন। সাধারণত এপ্রিল অথবা মে মাস থেকে চার ধাম যাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় অক্টোবর কিংবা নভেম্বর মাসে। মে ও জুন মাসে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বাড়ে। তবে ইচ্ছে করলে যাত্রার জন্য সেপ্টেম্বর মাসেও আপনি পরিকল্পনা করতে পারেন। তাতে সামান্য হলেও ততখানি ভিড়ের দাপট সহ্য করতে  হবে না।

সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ: পুণ্যলাভের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার আগে মন্দির দর্শনের সঠিক সময় জেনে রাখুন। সাধারণত এপ্রিল অথবা মে মাস থেকে চার ধাম যাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় অক্টোবর কিংবা নভেম্বর মাসে। মে ও জুন মাসে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বাড়ে। তবে ইচ্ছে করলে যাত্রার জন্য সেপ্টেম্বর মাসেও আপনি পরিকল্পনা করতে পারেন। তাতে সামান্য হলেও ততখানি ভিড়ের দাপট সহ্য করতে হবে না।

9 / 10
এক্সারসাইজ: যাত্রা শুরু করার মাস দু’য়েক আগে থেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু করুন। চার ধাম যাত্রায় শারীরিকভাবে ফিট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই শাররিক সক্ষমতা বাড়ানোর ট্রেনিং-এর প্রতি মনোযোগ দিন। এছাড়া চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ওষুধপত্র সঙ্গে নিতেও ভুলবেন না।

এক্সারসাইজ: যাত্রা শুরু করার মাস দু’য়েক আগে থেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু করুন। চার ধাম যাত্রায় শারীরিকভাবে ফিট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই শাররিক সক্ষমতা বাড়ানোর ট্রেনিং-এর প্রতি মনোযোগ দিন। এছাড়া চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ওষুধপত্র সঙ্গে নিতেও ভুলবেন না।

10 / 10
Follow Us: