Nutrients: স্বাস্থ্যকর খাবার তো খাবেন! কিন্তু তাতে কোন কোন পুষ্টিগুলো অবশ্যই রাখবেন, দেখে নিন এক নজরে

সুস্থ থাকার সহজ উপায় হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। এতে আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে একাধিক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের পর মানুষ যেভাবে সচেতন হয়েছে, তাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ভূমিকাও রয়েছে। এই স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় কোন পুষ্টিগুলি শরীরের জন্য অপরিহার্য তা জেনে নিন...

| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2022 | 4:15 PM
প্রোটিন- পেশী, হাড়, হরমোন, অ্যান্টিবডি ইত্যাদির মতো শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য বিল্ডিং ব্লক প্রদান কর প্রোটিন। একজন প্রাপ্তবয়স্কের শরীরে প্রতিদিন 0.৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। আপনি শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত পণ্য, ছোলা, পনির, গ্রিক দই, চিনাবাদাম এবং অন্যান্য বাদাম রাখতে পারেন।

প্রোটিন- পেশী, হাড়, হরমোন, অ্যান্টিবডি ইত্যাদির মতো শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য বিল্ডিং ব্লক প্রদান কর প্রোটিন। একজন প্রাপ্তবয়স্কের শরীরে প্রতিদিন 0.৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। আপনি শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত পণ্য, ছোলা, পনির, গ্রিক দই, চিনাবাদাম এবং অন্যান্য বাদাম রাখতে পারেন।

1 / 11
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টি শক্তি উন্নত করার জন্য আমাদের শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এটি আপনি উদ্ভিজপণ্য থেকেও পেতে পারেন। কিন্তু ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস হল সামুদ্রিক মাছ। মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় মাছকে বাদ দেবেন না।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টি শক্তি উন্নত করার জন্য আমাদের শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এটি আপনি উদ্ভিজপণ্য থেকেও পেতে পারেন। কিন্তু ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস হল সামুদ্রিক মাছ। মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় মাছকে বাদ দেবেন না।

2 / 11
কোলিন- মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র স্মৃতি, মেজাজ এবং পেশী নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলিনের প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় এই পুষ্টির অভাব শিশুর বিকাশের ওপর প্রভাব ফেলে। শরীরে কোলিনের চাহিদা পূরণ করতে আপনি মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডিমের মতো প্রাণী-ভিত্তিক খাবারগুলি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

কোলিন- মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র স্মৃতি, মেজাজ এবং পেশী নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলিনের প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় এই পুষ্টির অভাব শিশুর বিকাশের ওপর প্রভাব ফেলে। শরীরে কোলিনের চাহিদা পূরণ করতে আপনি মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডিমের মতো প্রাণী-ভিত্তিক খাবারগুলি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

3 / 11
ক্যালসিয়াম- হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এমন এগুলোকে শক্তিশালী ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে এই মিনারেল। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়ের ক্ষয়, দাঁতের ক্ষয়ের মত একাধিক রোগের কারণ। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে দুগ্ধজাত পণ্য ও সবুজ শাক-সবজিকে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখুন।

ক্যালসিয়াম- হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এমন এগুলোকে শক্তিশালী ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে এই মিনারেল। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়ের ক্ষয়, দাঁতের ক্ষয়ের মত একাধিক রোগের কারণ। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে দুগ্ধজাত পণ্য ও সবুজ শাক-সবজিকে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখুন।

4 / 11
সেলেনিয়াম- সেলেনিয়াম শরীরে ফ্রি র‍্যাডিকেল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে নিরাময় করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। থাইরয়েডের মত হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে সেলেনিয়াম। আপনি কলা, কাজু, ডাল এবং পালং শাক খেতে পারেন।

সেলেনিয়াম- সেলেনিয়াম শরীরে ফ্রি র‍্যাডিকেল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে নিরাময় করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। থাইরয়েডের মত হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে সেলেনিয়াম। আপনি কলা, কাজু, ডাল এবং পালং শাক খেতে পারেন।

5 / 11
ভিটামিন ডি- ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি মজবুত ও শক্তিশালী হাড় গঠনে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। আর এই ভিটামিন ডি-এর একমাত্র উৎস হল সূর্যের আলো। তাই দিনে ২০ মিনিট হলেও সূর্যালোকে দাঁড়ান। এছাড়া খাদ্যতালিকায় ডিম, চিজের মত খাদ্যগুলি রাখুন।

ভিটামিন ডি- ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি মজবুত ও শক্তিশালী হাড় গঠনে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। আর এই ভিটামিন ডি-এর একমাত্র উৎস হল সূর্যের আলো। তাই দিনে ২০ মিনিট হলেও সূর্যালোকে দাঁড়ান। এছাড়া খাদ্যতালিকায় ডিম, চিজের মত খাদ্যগুলি রাখুন।

6 / 11
জিঙ্ক- ইমিউন কোষগুলিকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর রাখতে এবং ক্ষত নিরাময় করতে সহায়তা করে জিঙ্ক। অন্যদিকে শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই মিনারেল। রেড মিট, মাংসের যকৃৎ জিঙ্কের দারুণ উৎস। কিন্তু যাঁরা নিরামিষভোজী তাঁরা ছোলা, ডাল এবং মটরশুটির মতো খাবার খেতে পারেন।

জিঙ্ক- ইমিউন কোষগুলিকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর রাখতে এবং ক্ষত নিরাময় করতে সহায়তা করে জিঙ্ক। অন্যদিকে শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই মিনারেল। রেড মিট, মাংসের যকৃৎ জিঙ্কের দারুণ উৎস। কিন্তু যাঁরা নিরামিষভোজী তাঁরা ছোলা, ডাল এবং মটরশুটির মতো খাবার খেতে পারেন।

7 / 11
ভিটামিন এ- অ্যান্টি-ইনফেকটিভ ভিটামিন নামে পরিচিত ভিটামিন এ ত্বক থেকে শুরু করে ফুসফুস, পেট সব কিছুর জন্য প্রয়োজন। মিষ্টি আলু, কুমড়ো, গাজর ও পালং শাকে ভিটামিন-এ ভরপুর পরিমাণে থাকে।

ভিটামিন এ- অ্যান্টি-ইনফেকটিভ ভিটামিন নামে পরিচিত ভিটামিন এ ত্বক থেকে শুরু করে ফুসফুস, পেট সব কিছুর জন্য প্রয়োজন। মিষ্টি আলু, কুমড়ো, গাজর ও পালং শাকে ভিটামিন-এ ভরপুর পরিমাণে থাকে।

8 / 11
ভিটামিন ই- শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের হাত থেকে দূরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ই। এছাড়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনে সহায়তা করে এই ভিটামিন। রান্নার তেল, বিভিন্ন বীজে এবং সব ধরনের বাদামে ভিটামিন ই পেয়ে যাবেন আপনি।

ভিটামিন ই- শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের হাত থেকে দূরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ই। এছাড়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনে সহায়তা করে এই ভিটামিন। রান্নার তেল, বিভিন্ন বীজে এবং সব ধরনের বাদামে ভিটামিন ই পেয়ে যাবেন আপনি।

9 / 11
ভিটামিন সি- শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে ভিটামিন সি। ভাইরাল ফ্লুয়ের মত একাধিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে ঢাল হিসাবে কাজ করে ভিটামিন সি। যে কোনও ধরনের লেবু, কিউই, ব্রকোলি, টমেটো, পেঁপে, বেল পেপার এবং আরও অন্যান্য সবজিতে আপনি সহজেই ভিটামিন সি পেয়ে যাবেন।

ভিটামিন সি- শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে ভিটামিন সি। ভাইরাল ফ্লুয়ের মত একাধিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে ঢাল হিসাবে কাজ করে ভিটামিন সি। যে কোনও ধরনের লেবু, কিউই, ব্রকোলি, টমেটো, পেঁপে, বেল পেপার এবং আরও অন্যান্য সবজিতে আপনি সহজেই ভিটামিন সি পেয়ে যাবেন।

10 / 11
ইলেক্ট্রোলাইট- ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়কে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেবেন না কখনও। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রাকে বজায় রাখে এবং এর সঙ্গে আপনাকে শক্তি জোগায়। আপনি ইলেক্ট্রোলাইটের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলের রস, ডাবের ফল ইত্যাদি পান করতে পারেন।

ইলেক্ট্রোলাইট- ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়কে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেবেন না কখনও। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রাকে বজায় রাখে এবং এর সঙ্গে আপনাকে শক্তি জোগায়। আপনি ইলেক্ট্রোলাইটের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলের রস, ডাবের ফল ইত্যাদি পান করতে পারেন।

11 / 11
Follow Us: