নদিয়ার চাকদা থেকে ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে বিদায়ী ম্যাচ। বাংলা তথা দেশের গর্ব ঝুলন গোস্বামীর কেরিয়ার বর্তমান প্রজন্মের অনুপ্রেরণার কারণ। (ছবি:টুইটার)
কিছুদিন আগেই মিতালি রাজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। প্রায় সমসাময়িক ঝুলনেরও এবার বিদায় নেওয়ার পালা। টানা ২০টি বছর ধরে বটবৃক্ষের মতো ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলকে আগলে রেখেছিলেন। নিশ্চিতভাবে মাঠে তাঁর অনুপস্থিতি অনুভূত হবে।(ছবি:টুইটার)
ঝুলন এমন একটা সময়ে ক্রিকেটকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তখন মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে কারও সেরকম ধারণাই ছিল না। পুরুষ ক্রিকেট দলের জনপ্রিয়তা, আয়ের কাছে মহিলা ক্রিকেটাররা ছিলেন নস্যি। শুধুমাত্র খেলাটিকে ভালোবেসে, তার টানে বাইশ গজকে আপন করে নেন বঙ্গতনয়া।(ছবি:টুইটার)
মেয়েদের ক্রিকেটের অভ্যুত্থান নিজের চোখে দেখে এসেছেন। সাধারণ মানুষ তো দূর অস্ত, ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অতটা ভাবিত ছিলেন না। ঝুলনরা সেই ভাবনাকে বদলে দিতে পেরেছেন। (ছবি:টুইটার)
ঘরের মাঠে মেয়েদের বিশ্বকাপ দেখে কিশোরী ঝুলন গোস্বামী ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তিনি অর্জন করেননি এমন কোনও স্থান নেই। যতদিন ক্রিকেট নামক খেলাটির অস্তিত্ব থাকবে, শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের মহিলা ক্রিকেটে বঙ্গ পেসারের অবদান ততদিন মনে রাখবেন আম ক্রিকেট জনতা।(ছবি:টুইটার)
সব ভালোরই শেষ আছে। ২০ বছরের বর্ণময় কেরিয়ারকে শনিবার শেষবারের মতো আলবিদা জানাবেন ঝুলন গোস্বামী। শনিবার লর্ডসে ভারত জিতলে ঝুলনের বিদায়ী সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতবে ভারত। প্রিয় ঝুলু-দিকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে ফেয়ারওয়েলের প্রস্তুতিতে মগ্ন স্মৃতি মান্ধানারা। (ছবি:টুইটার)