Siachen Glacier: বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে কোন কোন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হন সেনারা, তা জানুন

সারা বছর ধরেই এই হিমবাহের উপর কঠিনতম লড়াই করে টিকে থাকেন ভারতীয় সেনারা। বিস্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে ছেড়ে কোনও সেনাই তার অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেন না।

| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2022 | 6:22 PM
পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে ভারতীয় সেনাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তীব্র ঠান্ডা ও প্রতিকূল আবহাওয়া। শুধু তাই নয়, ভারতের এই সর্বোচ্চ সেনা পোস্টে সেনারা প্রতি মুহূর্তে অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান। দেশের চরম প্রতিকূল এলাকাগুলির মধ্যে সিয়াচেন তালিকার শীর্ষে অবস্থান করে।

পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে ভারতীয় সেনাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তীব্র ঠান্ডা ও প্রতিকূল আবহাওয়া। শুধু তাই নয়, ভারতের এই সর্বোচ্চ সেনা পোস্টে সেনারা প্রতি মুহূর্তে অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান। দেশের চরম প্রতিকূল এলাকাগুলির মধ্যে সিয়াচেন তালিকার শীর্ষে অবস্থান করে।

1 / 8
সারা বছর ধরেই এই হিমবাহের উপর কঠিনতম লড়াই করে টিকে থাকেন ভারতীয় সেনারা। বিস্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে ছেড়ে কোনও সেনাই তার অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেন না। আর এই জায়গায় গেলে কী কী পরিস্থিতির মধ্যে জীবন বাহিত হয়, তা জানুন...

সারা বছর ধরেই এই হিমবাহের উপর কঠিনতম লড়াই করে টিকে থাকেন ভারতীয় সেনারা। বিস্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে ছেড়ে কোনও সেনাই তার অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেন না। আর এই জায়গায় গেলে কী কী পরিস্থিতির মধ্যে জীবন বাহিত হয়, তা জানুন...

2 / 8
সারা বছর ধরে, কঠিন ও পুরু বরফের স্তূপে ও তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে থাকাটাই তো চ্যালেঞ্জের। এমনিতেই ওই এলাকায় অক্সিজেন কম। ফলে মানসিক ও স্মৃতিশক্তির উপর বিরাট প্রভাব পড়ে। এছাড়া যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকে শুধুই সাদা বরফ। মানসিক চাপ কমাতে তাই রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেন সেনারা। না হলেই মনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

সারা বছর ধরে, কঠিন ও পুরু বরফের স্তূপে ও তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে থাকাটাই তো চ্যালেঞ্জের। এমনিতেই ওই এলাকায় অক্সিজেন কম। ফলে মানসিক ও স্মৃতিশক্তির উপর বিরাট প্রভাব পড়ে। এছাড়া যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকে শুধুই সাদা বরফ। মানসিক চাপ কমাতে তাই রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেন সেনারা। না হলেই মনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

3 / 8
জল হল একটি অপরিহার্য উপকরণ। তীব্র ঠান্ডা ও তুষারপাতের কারণে এখানে তাপমাত্রা সবসময়ই মাইনাস ৩০-এর নীচে থাকে। ফলে ব্যবহার করার জন্য জল গরম করা সত্যিই কঠিন। এমনিতে এই অবস্থায় জল গরম করা হলেও জল বেশিক্ষণ তরল অবস্থায় থাকে না।

জল হল একটি অপরিহার্য উপকরণ। তীব্র ঠান্ডা ও তুষারপাতের কারণে এখানে তাপমাত্রা সবসময়ই মাইনাস ৩০-এর নীচে থাকে। ফলে ব্যবহার করার জন্য জল গরম করা সত্যিই কঠিন। এমনিতে এই অবস্থায় জল গরম করা হলেও জল বেশিক্ষণ তরল অবস্থায় থাকে না।

4 / 8
সিয়াচেনে প্রতি ঘণ্টায় তুষারঝড় ওঠে। ফলে দিনের আলোতেও চরম আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রের দৃশ্যমান্যতা শূন্য হয়ে থাকে। এক হাত দূরে থাকা মানুষকেও দেখতে পাওয়া দুষ্কর। শুধু তাই নয়, নিজের হাতও দেখা কঠিন হয়ে যায়। তাই বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়ে সেনারা একে অপরের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

সিয়াচেনে প্রতি ঘণ্টায় তুষারঝড় ওঠে। ফলে দিনের আলোতেও চরম আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রের দৃশ্যমান্যতা শূন্য হয়ে থাকে। এক হাত দূরে থাকা মানুষকেও দেখতে পাওয়া দুষ্কর। শুধু তাই নয়, নিজের হাতও দেখা কঠিন হয়ে যায়। তাই বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়ে সেনারা একে অপরের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

5 / 8
সারা বছর তুষারপাতের মধ্যে প্রাণ বাঁচানো এক কঠিন বাস্তব। প্রতি মুহূর্তে আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করতে করতে ভুলেও কখনও কোনও ধাতব জিনিসে হাত দেন না সেনারা। কারণ হাড় হিম করা ঠান্ডার কামড়ে শরীর অসাড় হয়ে ফ্রস্টবাইটের কবলে পড়তে পারে। আর তার জন্য দরকার সঠিক চিকিত্‍সা।

সারা বছর তুষারপাতের মধ্যে প্রাণ বাঁচানো এক কঠিন বাস্তব। প্রতি মুহূর্তে আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করতে করতে ভুলেও কখনও কোনও ধাতব জিনিসে হাত দেন না সেনারা। কারণ হাড় হিম করা ঠান্ডার কামড়ে শরীর অসাড় হয়ে ফ্রস্টবাইটের কবলে পড়তে পারে। আর তার জন্য দরকার সঠিক চিকিত্‍সা।

6 / 8
তীব্র ঠাণ্ডায় আপনার ঘাম পর্যন্ত শীতল বরফে পরিণত হয়ে যায়। ট্রেকিং করার সময় শরীর থেকে ঘাম নির্গত হলেও সিয়াচেনের মতো সর্বোচ্চ জায়গায় সেই ঘাম জমে যায়। আর তাতেই বিপদটা ঘটে। কারণ ঘাম জমে বরফে পরিণত হলে শরীরিক নানা সমস্যা দেখা যায়।

তীব্র ঠাণ্ডায় আপনার ঘাম পর্যন্ত শীতল বরফে পরিণত হয়ে যায়। ট্রেকিং করার সময় শরীর থেকে ঘাম নির্গত হলেও সিয়াচেনের মতো সর্বোচ্চ জায়গায় সেই ঘাম জমে যায়। আর তাতেই বিপদটা ঘটে। কারণ ঘাম জমে বরফে পরিণত হলে শরীরিক নানা সমস্যা দেখা যায়।

7 / 8
পাঁচ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় উঠলেই সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এদিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে অক্সিজেন এতটাই কম থাকে যে মস্তিষ্ক ঠিক করে কাজ করে না। আমরা সমতলে সাধারণত যে অক্সিজেন ব্যবহার করি, সিয়াচেনে তা ১০ শতাংশেরও কম গ্রহণ করা যায়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে মস্তিষ্কে অক্সিজেন না প্রবেশ না করলে সাধারণত মস্তিষ্কের কোষ মারা যায়।

পাঁচ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় উঠলেই সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এদিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে অক্সিজেন এতটাই কম থাকে যে মস্তিষ্ক ঠিক করে কাজ করে না। আমরা সমতলে সাধারণত যে অক্সিজেন ব্যবহার করি, সিয়াচেনে তা ১০ শতাংশেরও কম গ্রহণ করা যায়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে মস্তিষ্কে অক্সিজেন না প্রবেশ না করলে সাধারণত মস্তিষ্কের কোষ মারা যায়।

8 / 8
Follow Us: