Basant Panchami 2023: সরস্বতী পুজোয় বাসন্তী রঙের পোশাক কেন পরা হয়, জানা আছে?

Saraswati Puja in Bengal: এ দিনে ভক্তেরা আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরস্বতীর পুজো করে ও হলুদ রঙের পোশাক পরিধান করেন। এই দিনে হলুদ রঙের বিশেষ গুরুত্ব ধরা হয়।

Basant Panchami 2023: সরস্বতী পুজোয় বাসন্তী রঙের পোশাক কেন পরা হয়, জানা আছে?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 2:28 PM

এই দিনটির জন্যই সারা বছর পড়ুয়ারা অপেক্ষা করে থাকেন। শীতের বিদায়বেলায় সরস্বতী পুজো (Saraswati puja) বর্তমানে অঘোষিত ভ্যালেন্টাইন ডে-তে পরিণত হয়েছে। বসন্তের (Springs) আগমনে প্রকৃতি যেমন সেজে ওঠে, তেমনি কচিকাচা থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী সকলেই নতুন সাজে সেজে ওঠে। একই দিনে সকলেই হঠাত করে যেন বড়দিদি, বড়দাদায় পরিণত হয়ে ওঠে। বসন্ত পঞ্চমী মানেই হলুদ শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তা-পায়জামায় সেজে ওঠার দিন। বাঙালির কাছে সরস্বতী পুজো অত্যন্ত বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করলে তার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বছর বসন্ত পঞ্চমীর উত্সব ২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে। এ দিনে ভক্তেরা আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরস্বতীর পুজো করে ও হলুদ রঙের পোশাক পরিধান করেন। এই দিনে হলুদ রঙের বিশেষ গুরুত্ব ধরা হয়। বসন্ত পঞ্চমীর দিনে হলুদ রঙের পোশাক কেন পরা হয়, তা জানা আছে?

বসন্ত পঞ্চমীতে হলুদ রঙের গুরুত্ব

– ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, হলুদ সূর্যের রঙ এবং সূর্যের রশ্মি যেমন অন্ধকারকে ধ্বংস করে, তেমনি মানুষের অন্তরের অশুভ অনুভূতিকে ধ্বংস করে।

– হাল্কা হলুদ রং মানুষকে বুদ্ধির বিকাশ করে, গাঢ় হলুদ মানুষকে মনোবল দেয় ও প্রতিটি কাজে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়।

– হলুদ হল জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার মহান রঙ, এটি সুখ, শান্তি, অধ্যয়ন, একাগ্রতা এবং মানসিক বৌদ্ধিক অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে।

– হলুদ রঙ উত্তেজিত করে, জ্ঞানের প্রতি ঝোঁক তৈরি করে। সেই সঙ্গে মনের মধ্যে নতুন চিন্তার জন্ম দেয়। তাই বসন্ত পঞ্চমীতে হলুদ রং পরা হয়।

– ভগবান শ্রী বিষ্ণুর পোশাকও হলুদ, তাঁর হলুদ পোশাক তাঁর অসীম জ্ঞানের প্রতীক।

– ভগবান শ্রী গণেশের ধুতিও হলুদ রঙের। ভগবান গণপতি, যিনি সমস্ত শুভ কাজে হলুদ ধুতি পরেন, তিনি বাধা দূরকারী।

তাৎপর্য

বসন্ত ঋতু বহু মানুষেরই খুব প্রিয়। এই ঋতুতে ফুলের মাধ্যমেই যেন বসন্ত আসে। এই ঋতুতেই ক্ষেতে সরষের ফুল যেন সোনার মতো ঝলমল করে, বার্লি ও গমের শীষ ফুটতে শুরু করে, আম গাছে মুকুল আসে, রঙিন প্রজাপতির চলাচলের মাধ্যমেই যেন বসন্তের আগমন ঘটে। শীতের বিদায়বেলায় ও বসন্তের আগমনের সময়কাল থেকেই গোটা প্রকৃতিই যেন সেজে ওঠে। বসন্ত ঋতুকে স্বাগত জানাতে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে একটি বড় উৎসব পালিত হয়, যাকে বলা হয় বসন্ত পঞ্চমী। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু ও কামদেবেরও পুজো করা হয়। শাস্ত্রে বসন্ত পঞ্চমীকে ঋষি পঞ্চমী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তারপর পুরাণ-শাস্ত্র এবং অনেক কাব্যগ্রন্থে একে বিভিন্নভাবে চিত্রিত করা হয়েছে।

(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)