Ganesh Visharjan 2022: অনন্ত চতুর্দশী কবে? এইদিনে গণেশ বিসর্জন করার নিয়ম ও পুজোবিধি জানুন
Anant Chaturdashi 2022: হিন্দুধর্ম অনুসারে, ভক্তরা তাদের বাড়িতে দেড় দিন, ৩, ৫, ৭ বা ১০ দিন গণপতি প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর হিন্দু আচার বিধি মেনে গণেশের নিরঞ্জন করা হয়।
গত ৩১ অগস্ট থেকে গণেশ চতুর্থী শুরু হয়েছে। প্রথম দিন শুভক্ষণে ভক্তরা নিজ নিজ বাড়িতে গণপতি বাপ্পা স্থাপন করেন। তারপর থেকে ১০দিন ধরে নিয়ম করে তার পুজো হবে। তারপর অনন্ত চতুর্দশীর দিন তাদের বিদায়ের পালা। ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চর্দশী তিথিতে অনন্ত চতুর্দশী পালিত হয়। এই দিনে উপবাস রেখে গণেশের পুজো করা হয়। তারপরে শুভ সময়ে, গণপতি বাপ্পাকে বিদায় জানানো হয়। বিদায়ের সময় আমরা সকলেই পরের বছর আবার যেন বাড়িতে আসেন এবং জীবনে সুখ এবং শান্তি নিয়ে আসেন, সই কামনাই করা হয়। হিন্দুধর্ম অনুসারে, ভক্তরা তাদের বাড়িতে দেড় দিন, ৩, ৫, ৭ বা ১০ দিন গণপতি প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর হিন্দু আচার বিধি মেনে গণেশের নিরঞ্জন করা হয়। তাই এবার জেনে নিন আনন্ত চতুর্দশীর বিশেষ তিথি ও শুভমুহূর্ত কবে ও কখন পড়েছে।
অনন্ত চতুর্দশী কখন?
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের ১৪ তম দিনটিকে বলা হয় চতুর্দশী অর্থাৎ অনন্ত চতুর্দশী। গণেশ বিসর্জনও এই দিনে হয়। এই বছর চতুর্দশী তিথি ৮ ই সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে চারটে থেকে শুরু হবে এবং ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। উদয়তিথি অনুসারে, অনন্ত চতুর্দশীর পুজোর শুভ সময় ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বেলা ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে।
অনন্ত চতুর্দশীর তাৎপর্য
হিন্দু ধর্মে অনন্ত চতুর্দশীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং এটি অনন্ত চৌদাস নামেও পরিচিত। গণেশের বিসর্জনের পাশাপাশি এই দিনে ভগবান বিষ্ণুরও পূজা করা হয়। তার বাহুতে একটি সিল্ক বা সুতির সুতো বেঁধে তাতে ১৪টি গিঁট দেওয়া হয়। এটি ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীকও বটে।
গণপতি বিসর্জনের নিয়ম
অনন্ত চতুর্দশীর দিনে গণেশ বিসর্জন করা হয় এবং এটাও বলা হয় যে পরের বছর ভগবান আবার আসবেন এবং তার আশীর্বাদ বর্ষণ করবেন। এরপর জলের মধ্যে প্রতিমাকে ডুবিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। বিসর্জনের আগে রীতিমতো পুজো করা হয় এবং ধূপ-প্রদীপ জ্বালানো হয়। বিসর্জনের আগে, গণেশজীর সামনে সব ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
অনন্ত চতুর্দশী পূজা বিধি
সকালে স্নান করে পুজোর স্থানে কলশ স্থাপন করুন। এর পরে, কলশের কাছে ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি বা ছবি রাখুন। জাফরান, কুমকুম, হলুদ দিয়ে একটি সুতোয় রঙ করে অসীম সুতো তৈরি করুন। এছাড়াও মনে রাখবেন যে এটিতে ১৪টি গিঁট থাকতে হবে। ওই সুতোটি ভগবানের সামনে রাখুন। এর পরে ভগবান বিষ্ণুর অসীম সূত্রের পূজা করুন। এর পর ‘অনন্ত সংসার মহাসুমদ্রে মাগ্রাম সম্ভ্যুধর বাসুদেব। অনন্তরূপে বিনিয়োজয়স্ব হরনন্তসূত্রায় নমো নমস্তে।’ এই মন্ত্রটি জপ করুন। পূজার পর ভক্তের বাহুতে অনন্ত সুতো বেঁধে দিন বা নিজে পরে নিন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই অনন্ত সুতোয় বাঁধলে ঝামেলার বিনাশ হয়।