Pitru Paksha 2022: পিতৃপক্ষে কাকের উপস্থিতি কেন গুরুত্বপূর্ণ? জানুন পুরাণ কাহিনি

Pitru Paksha 2022: পিতৃপক্ষের কাককে খাওয়ানোর বিশেষ তাত্‍পর্য রয়েছে। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, কাকই একমাত্র পাখি, যাকে পূর্বপুরুষ বলা হয়।

Pitru Paksha 2022: পিতৃপক্ষে কাকের উপস্থিতি কেন গুরুত্বপূর্ণ? জানুন পুরাণ কাহিনি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2022 | 6:10 AM

দেবীপক্ষ শুরুর ১৫ দিন আগে শুরু হয় পিতৃপক্ষ। এই পিতৃপক্ষ শোক জ্ঞাপন করার সময়। শাস্ত্র অনুসারে পিতৃপক্ষকে অশুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সময়ে বাড়িয়ে বিয়ে, পৈতে, উপনয়নের আয়োজন কিংবা অন্য কোনও শুভ কাজ করা যায় না। ১৫ দিন করে এক একটি পক্ষ থাকে। মূলত পক্ষ দু’টি, শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ। এক বছরে ২৪টি পক্ষ হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে দুটো করে পক্ষ। এই ২৪টি পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। কিন্তু তার আগে পিতৃপক্ষ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ, তর্পণ ইত্যাদি মৃত্যু-সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়। পিতৃপক্ষের শেষ দিনটিকে মহালয়া অমাবস্যা বলা হয়। এই দিন হিন্দুধর্মে শ্রাদ্ধ ও শোকপালনের দিবস। কিন্তু পিতৃপক্ষ চলাকালীন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। পূর্বপুরুষদের জল দিতে হয় পিতৃপক্ষ চলাকালীন। পাশাপাশি এই ১৫ দিন গোরু, কাক, কুকুর এবং পিঁপড়কে খাওয়ানোর একটি রীতি রয়েছে।

পিতৃপক্ষের কাককে খাওয়ানোর বিশেষ তাত্‍পর্য রয়েছে। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, কাকই একমাত্র পাখি, যাকে পূর্বপুরুষ বলা হয়। শাস্ত্রে রয়েছে, যদি কাক পিতৃপুরুষকে দেওয়া খাবার গ্রহণ করে তাহলে এর অর্থ পূর্বপুরুষের আত্মা শান্তি পেয়েছে। আবার কাককে যমরাজের প্রতীকও বলা হয়ে থাকে।

কথিত রয়েছে, একজন ঋষি কাককে অমৃতের সন্ধানের জন্য পাঠিয়েছিলেন। অমৃতের শুধু সন্ধান আনতে বলা হয়েছিল কাককে। কাক কোনওরকম ভাবে ওই অমৃত পান করতে পারবে না। এমনকী কাক অমৃতের সন্ধানও পেয়েছিল। কিন্তু সে ওই অমৃত পান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেনি। ফলে ঋষি রেগে যান এবং ক্রোধে কাককে অভিশাপ দেন। যেহেতু কাক ঋষির কথার অমর্যাদা করেছে তাই তাকে অভিশাপ দেওয়া হয় যে সে অশুচি।

ভারত ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাককে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতাগুলোর অবিচ্ছেদ্য অংশ কাক। গরুড় পুরাণে উল্লেখ রয়েছে যে কাক হল যমরাজের বার্তা বহনকারী। আবার গ্রীক পুরাণে কাককে শুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভাল ভাগ্যের লক্ষণ হয় কাক। হাগিনস এবং মুনিনের গল্পেও উল্লেখ রয়েছে কাকের। সেখানে কাককে ঈশ্বরের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।