কলকাতা: সৈয়দ মুস্তাক আলিতে (Syed Mushtaq Ali Trophy) দুরন্ত মেজাজে অজিঙ্ক রাহানে (Ajinkya Rahane)। বরোদার বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে চলতি মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিফাইনালে নেমেছিল মুম্বই। ৫৬ বলে ৯৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন রাহানে। তাঁকে আইপিএল নিলামে কেকেআর কেনার পর থেকে ক্রিকেট মহলে বলাবলি হচ্ছে, তাঁকেই নাইটদের পরবর্তী নেতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। ৩৬-এও তাঁর ঝাঁঝ যে কমেনি, তা প্রায় প্রতি ম্যাচেই প্রমাণ করছেন। চিন্নাস্বামীতে ১৭৫ স্ট্রাইকরেটে বিধ্বংসী ব্যাটিং রাহানের। হার্দিক-ক্রুণালদের বরোদাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এ বারের মুস্তাক আলির প্রথম ফাইনালিস্ট মুম্বই।
টস জিতে মুম্বই অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার প্রথমে বরোদাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। তৃতীয় ওভারেই ওপেনার অভিমন্যুকে (৯) ফেরান মোহিত অবস্তি। এরপর দশম ওভারে ক্যাপ্টেন ক্রুণালকে ফেরান সূর্যাংশ। ২৪ বলে ৩০ রান করেন তিনি। ওপেনার শ্বাসত রাওয়াত ২৯ বলে ৩৩ রান করেন। সেমিতে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট চলেনি। ৬ বলে ৫ করেন তিনি। বরোদার হয়ে সর্বাধিক রান শিবালিক শর্মার। ২৪ বলে ৩৬ রান তাঁর। মুম্বইয়ের হয়ে ৬ বোলারই আজ উইকেট পেয়েছেন। সূর্যাংশ নেন ২টি উইকেট। তিনি ছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মোহিত অবস্তি, শার্দূল ঠাকুর, শিবম দুবে, তনুষ কোটিয়ান, অথর্বরা।
১৫৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পৃথ্বী শ-কে (৮) ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর ক্যাপ্টেন শ্রেয়সের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন অজিঙ্ক রাহানে। দ্বিতীয় উইকেটে অনেকটাই এগিয়ে যায় মুম্বই। ১৩তম ওভারে অতীত শেঠ ফেরান শ্রেয়সকে। ৪ রানের হাফসেঞ্চুরি মিস তাঁর। ৩০ বলে ৪৬ করেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স। এরপর একা হাতেই ম্যাচ বের করে নেন রাহানে। সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট চলেনি। করেন ১ রান। ৫৬ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলার পথে রাহানের ব্যাটে এসেছে ১১টি চার ও ৫টি ছয়। শিবম দুবে ০ নট আউট, সূর্যাংশ ৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ১৬ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান তুলে ফেলে মুম্বই। ম্যাচ জেতার পাশাপাশি ট্রফি জয়ের শেষ লড়াইয়েও পৌঁছে গেলেন রাহানেরা। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস হয় রাহানের। ১৬.৫ ওভারে অভিমন্যু রাজপুত নেন তাঁর উইকেট। সেঞ্চুরি মিস করলেও সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনিই। টুর্নামেন্টের ফাইনাল রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর। এ বার দেখার দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ ম্যাচ থেকে কোন টিম ওঠে ফাইনালে।