IND vs SA: ১৫ বছরের পরিশ্রমের ফল জো’বার্গে পেতে চলেছেন আল্লাহুদিন পালেকার
Allahudien Paleker: একজন আম্পায়ারের (Umpire) স্বপ্নই থাকে টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) আম্পায়ারিং করা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আল্লাহুদিন পালেকার (Allahudien Paleker)। আজ জোহানেসবার্গে সেই পরিশ্রমের ফল পেতে চলেছেন তিনি।
জোহানেসবার্গ: কতটা পথ পেরিয়ে আসলে পরিশ্রমের ফল মেলে? প্রত্যেক ব্যাক্তির জন্য এই প্রশ্নের উত্তরটা আলাদা আলাদাই হয়ে থাকে। একজন আম্পায়ারের (Umpire) স্বপ্নই থাকে টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) আম্পায়ারিং করা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আল্লাহুদিন পালেকার (Allahudien Paleker)। আজ জোহানেসবার্গে সেই পরিশ্রমের ফল পেতে চলেছেন তিনি। এলগার-কোহলিদের দ্বিতীয় টেস্টে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন পালেকার। টেস্ট ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে আজ অভিষেক হতে চলেছে তাঁর। আম্পায়ারদের পরিবার থেকে উঠে আসা পালেকার, এর আগে ক্রিকেটার হিসেবে সাত বছর খেলেছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত দ্বিতীয় টেস্টে আল্লাহুদিন পালেকারের দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭তম টেস্ট আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হতে চলেছে। কেপ টাউনে জন্মগ্রহণকারী পালেকার দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেন, “এটা অবশ্যই আমার জন্য একটা গর্বের মুহূর্ত। যখন কেই আম্পায়ারিং করা শুরু করেন, তাঁর স্বপ্নই থাকে টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করা।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ১৫ বছর আগে আম্পায়ারিং করা শুরু করেছিলাম। আজকের দিনটা দেখার জন্যই। এই জায়গায় পৌঁছতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে, অনেক ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়েছে। দীর্ঘদিন বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়, তাই পরিবারের কাছ থেকেও সমর্থন প্রয়োজন। যেটা আমি পেয়েছি। আমি বছরের পর বছর গ্রীষ্মে পরিবারের কোনও অনুষ্ঠানে কিংবা বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারিনি।”
এই কঠিন সফরে পরিবারকে কিন্তু সব সময় পাশে পেয়েছেন পালেকার। যার জন্য নিজের স্ত্রীর বিশেষ ত্যাগের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রোটিয়া আম্পায়ার বলেন, “আমার জন্য আমার স্ত্রী শাকিরাকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। আমার এই সফরে সব থেকে ধৈর্য দেখিয়েছে ও, সব সময় আমার পাশে থেকেছে। তাই তাকে বিশেষ ধন্যবাদ। ও আমার মূল শক্তি।”
পালেকারের বাবা জামালোডিয়ান (Jamalodien) একজন আম্পায়ার ছিলেন। এ ছাড়া তাঁর কাকাও এই কাজের সঙ্গেই যুক্ত। পাশাপাশি তাঁর কাকার দুই ছেলেও আম্পায়ারিংয়ের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নিজের এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য তিনি তাঁর বাবার অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমার এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য বাবাই বড় অনুপ্রেরণা ছিল। তিনি প্রথম শ্রেণির আম্পায়ার হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন কারণে পারেননি। কিন্তু আমি তাঁকে অনুসরণ করেই এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি।” জো’বার্গে ছেলের টেস্টে আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক ম্যাচের সাক্ষী হতে চলেছেন তাঁর বাবা।