Andrew Symonds: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে কী করছিলেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, প্রকাশ্যে এল

ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে সাইমন্ডস কী করেছিলেন, তা এল প্রকাশ্যে। তবে তাঁর মৃত্যু কী ভাবে হল, সেই রহস্য এখনও কাটেনি।

Andrew Symonds: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে কী করছিলেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, প্রকাশ্যে এল
Andrew Symonds: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে কী করছিলেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, প্রকাশ্যে এলImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 9:30 AM

সিডনি: কুইন্সল্যান্ডে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান এক স্থানীয় ক্লাবেও গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ আগে টাউন্সভিলার সমুদ্রের ধারে এক ব্রিজের কাছে গাড়ি দুর্ঘনায় মারা গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia Cricket) ওয়ান ডে স্পেশালিস্ট অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস (Andrew Symonds)। তাঁর গাড়ি মেন রোড থেকে অনেক দূরে পাওয়া যায়। কেন রাস্তা থেকে নেমে গিয়েছিল সাইমন্ডসের গাড়ি, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তার থেকেও বড় প্রশ্ন ছিল, তার ১১টার সময় ওখানে কেন গিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। ক্রিকেট ছাড়ার পর তাঁর জীবনযাত্রার বৈচিত্র অনেকটাই কমে গিয়েছিল। সেই তিনিই কেন টাউন্সভিলায় গিয়েছিল, তা পরিবারও জানত না। সব মিলিয়ে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তাঁর আচমকা মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছিল রহস্য।

অস্ট্রেলিয়ার খবরের কাগজ অনুযায়ী, রাতে ওই দুর্ঘটনার আগে বিকেলে স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবে গিয়েছিলেন সাইমন্ডস। তখনও তাঁর পরনে ছিল ফিসিং পোশাক। সেখান খানাপিনাও করেছিলেন। তবে খুব বেশি পান যে করেছিলেন তাও নয়। রাত আটটা নাগাদ ক্লাব থেকে চলে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তাঁর পোষ্য নেওয়ার জন্য। কয়েক ঘণ্টা পরে মারা যান।

ব্রাদার লিগের সিইও জাস্টিন উইলকিন্স বলেছেন, ‘ক্লাবের আসার আগে ও মাছ ধরছিল। সেখান থেকে সরাসরি ক্লাবের পাবে আসে। রাত আটটা নাগাদ ক্লাব থেকে চলে যায়। তার পরই মন খারাপ করা ঘটনাটা ঘটেছে। ও চিরকাল বড় মনের মানুষ ছিল। ওকে আমরা সবাই মিস করব।’

সাইমন্ডসের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। তারই মধ্যে তাঁর বোন লুইস রহস্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, সাইমন্ডস কেন যে ওই রাতে বিচের ধারে গিয়েছিলেন, তা তাঁরাও একেবারে জানেন না। স্ত্রী লরার সঙ্গে সম্প্রতি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল সাইমন্ডসের। তাই প্রাক্তন ক্রিকেটারের গতিবিধি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা ছিল না লরার। দুই ছেলেকে নিয়ে লরা সিডনিতে থাকলেও কুইন্সল্যান্ডেই থাকতেন সাইমন্ডস। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দুটো বিশ্বকাপজয়ী টিমের অন্যতম সফল ক্রিকেটারের অকস্মাৎ মৃত্যুতে এখনও শোকের মধ্যে ওই দেশের ক্রিকেট মহল।