Arshdeep Singh: বিশ্বকাপে ছেলের হাত ধরেই ট্রফি জেতার স্বপ্ন দেখছে অর্শদীপের পরিবার
T20 World Cup: ১৫ জনের বিশ্বকাপ দলে অর্শদীপ সুযোগ পাওয়ার পর পঞ্জাবের বাঁ-হাতি পেসারের মা বলেন, 'আমার প্রার্থনা কাজে এসেছে।'
মোহালি: গত কয়েক দিনে ভারতীয় ক্রিকেটের (Team India) আলোচনায় উঠে এসেছেন অর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh)। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে ক্যাচ মিস করায় সমালোচনায় জেরবার হতে হয়েছে পঞ্জাব তনয়কে। অর্শদীপের উইকিপিডিয়া পেজ বিকৃত করা হয়। যে ঘটনায় নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। এমনকি এশিয়া কাপে পাকিস্তান ম্যাচের পর সামনাসামনি সমর্থকদের কটূক্তির শিকারও হন অর্শদীপ। খারাপ সময় অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এশিয়া কাপে ব্যর্থ হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) দলে রাখা হল বাঁ-হাতি পঞ্জাব পেসারকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর অর্শদীপের বাড়িতে খুশির আমেজ। ভারতীয় দল নির্বাচনের সময় অর্শদীপের মোহালির বাড়িতে প্রার্থনা করছিলেন তাঁর মা বলজিৎ কৌর।
১৫ জনের বিশ্বকাপ দলে অর্শদীপ সুযোগ পাওয়ার পর পঞ্জাবের বাঁ-হাতি পেসারের মা বলেন, ‘আমার প্রার্থনা কাজে এসেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আসিফ আলির ক্যাচ ফেলার পর ওকে অনেক সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে। দেশের জার্সিতে অল্প সময়েই অনেক যন্ত্রণা পেতে হয়েছে ওকে। এর থেকে অনেক শিক্ষা নিতে পারবে ও। অর্শদীপের নাম বিশ্বকাপের স্কোয়াডে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমাদের পরিবারকে ও গর্বিত করেছে। আমি আশা করি, অর্শদীপের সাহায্যে এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতবে।’
অর্শদীপের বাবা দর্শন সিং কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন। ১৯৯৯ সালে দর্শন সিং মধ্যপ্রদেশে থাকার সময় অর্শদীপের জন্ম হয়। পরবর্তীতে মোহালিতে চলে আসে পুরো পরিবার। ২০১৫ সালে স্থানীয় অ্যাকাডেমিতে ক্রিকেটের হাতে খড়ি হয় অর্শদীপের। এরপর ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে জাতীয় দলে ডাক পান। পঞ্জাব কিংসের হয়ে ৩৭টা আইপিএলের ম্যাচও খেলেছেন অর্শদীপ।
ভারতের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১১টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন অর্শদীপ। নিয়েছেন ১৪ উইকেট। বিশ্বকাপের দলে ছেলেকে দেখতে পেয়ে দর্শন সিং বলেন, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন বিশ্বকাপ খেলা। অর্শদীপের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। ও সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। দেশকে ট্রফি জিততে ও সাহায্য করবে। সাইকেলে করে খারার থেকে চণ্ডীগড়ের অ্যাকাডেমিতে যেত ও। ওর পরিশ্রম এতদিনে সার্থক হয়েছে। হার-জিত জীবনের অঙ্গ। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ও নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াবে।’